সাধারণ বর্গের আর্থিকভাবে অনগ্রসর অংশের জন্য শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ আসন ও পদ সংরক্ষণের সিদ্ধান্তে গতকাল সায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের ওই রায় সর্বসম্মত নয়। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত সহ দুই বিচারপতি ভিন্ন মত দিয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে বহাল থেকেছে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ওই কোটা চালু করে।
এদিকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ওই রায়ে অখুশি। সামাজিক ন্যায়ের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলি এই বিষয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছে। সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে তারা রায়ের পর্যালোচনা চাইবেন।
অল ইন্ডিয়া ওবিসি এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যতম মামলাকারী অমিত করুণানিধির বক্তব্য, এই রায় অনাকাঙ্খিত। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংরক্ষণ সামাজিক ন্যায়ের ধারণার পরিপন্থী। সংবিধান প্রণেতারা অর্থনৈতিক মাপকাঠির ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোনও বিধান তৈরি করেননি। এটা করা হয়েছিল দেশে যুগ যুগ ধরে চলে আসা বর্ণ ব্যবস্থায় সামাজিক এবং শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে থাকা জাতির কল্যাণের জন্য। এখন সংরক্ষণের নতুন মানদণ্ড তৈরি করা হচ্ছে।
সামাজিক ন্যায়ের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলির বক্তব্য, সরকার সামাজিকভাবে উন্নত বর্ণগুলির মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশগুলির জন্য এই সংরক্ষণ চালু করেছে । কিন্তু তফসিলি অর্থাৎ এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের মধ্যেও দরিদ্র রয়েছে। কিন্তু তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে নয়া এই সংরক্ষণ কোটা থেকে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।