ক্রমশ পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। বৌবাজার বিপর্যয়ের ২৪ দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও মেলেনি কোনো সুরাহাসূত্র। ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় অসন্তোষ মাথাচাড়া দিচ্ছে গৃহহীনদের। ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছিল কেএমআরসিএল। কিন্ত ২৪ দিন কেটে গেলেও ক্ষতিপূরণ মেলেনি। বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, প্রতিদিন ক্যাম্প অফিসে এসে তাঁরা ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে জানতে চান। কিন্তু এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ঘোরানো হয় তাঁদের। এছাড়া ঠিকাদার সংস্থার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এর আগে ২০১৯-এর ৩১শে আগস্টের পর ২০২২ মাসের ১১ই মে মেট্রোর কাজের জন্য ভেঙে যায় বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের একাধিক বাসিন্দাদের বাড়ি। এক মুহূর্তে আচমকা মাথার ছাদ সরে যায়। ধাক্কা লাগে রোজগারে। নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে চলে যেতে হয় অন্যত্র। প্রথম পর্যায়ে সেই রকমই ১৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর হাতে প্রথম দফার আর্থিক সাহায্য তুলে দেয় কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।
তবে থেমে থাকেনি দুর্ভোগ। ক্রস প্যাসেজ বানানোর সময়, ফের ফাটল ধরে একাধিক বাড়িতে। এই অবস্থায়, বিকল্প হিসেবে, ভেন্টিলেশন শ্যাফট-এর কথা ভাবছে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে পরামর্শের জন্য, দিল্লী থেকে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। গত মাসে বউবাজারে মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে ফের ফাটল ধরা পড়ে। একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ তাদের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ব্যবসা চালাতেও অসুবিধা হচ্ছে। এই অবস্থায় বউবাজারের ক্যাম্প অফিসে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বউবাজারের বাসিন্দারা। এঁদের নবনীতা বড়ুয়া বলে একজন জানিয়েছেন, “নোটিশ দিয়ে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়া হবে। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। এখন দেখা করতে আসলেও আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে।” বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, এক থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা বিভিন্ন পর্যায়ের জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা ছিল। এর পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকমতো করা হচ্ছে না বাড়ি সারানোর কাজ। যার ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাঁদের।