দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে বিগত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাচ্ছে তাঁর দল। গতকাল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে জাফর আলি চকে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনিও। আর সেখানেই ভরা জনসভায় গুলি চলে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপরে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেও, গুরুতর আহত হয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান নেতা। এবার এ নিয়ে মুখ খুলে ইমরান জানালেন, তাঁর ওপর যে হামলা হতে চলেছে, তা আগেই জানতে পেরেছিলেন তিনি। বিশেষ সূত্রে তাঁর কাছে খবর ছিল, হয় গুজরাতে অথবা ওয়াজিরাবাদে তাঁর ওপর হামলা করা হবে।
ওয়াজিরাবাদে গুলি হামলার ২৪ ঘণ্টা পর হুইল চেয়ারে জখম পা নিয়ে বসে আহত ইমরান একটি ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বিশেষ সূত্রে আগে থেকেই হামলার খবর পেয়েছিলেন। চক্রান্তকারীদের নাম জানার পর সেই নাম একটি ভিডিয়ো টেপে রেকর্ড করে বিদেশে পাঠানোর সমস্ত ব্যবস্থাও করে রেখেছিলেন। যদি কিছু হতো তবে সেই ভিডিয়ো টেপ যথাস্থানে পৌঁছে যেত। ইমরানের দাবি, তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে চরমপন্থীরা। তবে তার আগে চক্রান্ত করেই তাঁর নামে বিতর্কিত টেপ প্রকাশ করে তাঁকে ধর্মবিরোধিতার দায়ে দোষী বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে ব্যাপারটাকে এ ভাবে সাজানো যায় যে, তিনি ধর্মবিরোধিতা করেছেন বলেই তাঁকে হত্যা করা হল।