গোটা রাজ্যজুড়ে কর্মীদের ক্ষোভ ও কোন্দলের কর্কটে ভুগছে বঙ্গ বিজেপি। বিরোধী দলনেতার নির্বাচনী কেন্দ্রও ব্যতিক্রম নয়। নন্দীগ্রামে বিজেপির অন্দরে অজস্র ক্ষোভ ছিলই। কিন্তু দুই বিজেপি নেতা দলত্যাগ করতেই ক্ষোভ দাবানলে পরিণত হয়েছে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্রের বিজেপির সংগঠন।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে বিজেপির অন্যতম সৈনিক বটকৃষ্ণ দাস ও নন্দীগ্রামের দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি জয়দেব দাস সম্প্রতি দল ছেড়েছেন। দল ছাড়ার ঘোষণার দিনই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষের সঙ্গে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন, কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় তাদের গন্তব্য জোড়াফুল। এই বটকৃষ্ণকে নির্বাচনের আহ্বায়ক করে এবং জয়দেব দাসকে সামনে রেখেই নন্দীগ্রামে ভোট যুদ্ধে নেমেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলে তাদের বিজেপি ত্যাগ, গোটা সংগঠনে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে।
এই ঘটনার পরেই বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি প্রলয় পাল ফেসবুকে লেখেন, ‘হৃদয়টা ভেঙে দু-টুকরো হয়ে যাচ্ছে। তবুও নিশ্চুপ, নীরব। ক্ষমা কর বিবেক’। প্রসঙ্গত, প্রলয় পাল নন্দীগ্রামেরই লোক, সেখান থেকেই তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। আর তাঁর হাত ধরেই বিজেপিতে এসেছিলেন বটকৃষ্ণ। বটকৃষ্ণ, জয়দেবরা দল ছাড়লেন, সঙ্গে আরও অনেকে। তারা রাজ্যের শাসক শিবিরে যোগ দেবেন বলেই জল্পনা চলছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে প্রলয় পালের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট কী বার্তা দিচ্ছে? সতীর্থদের দল ছেড়ে যাওয়ার দুঃখ, নাকি আরও বড় ভাঙনের সিঁদুরে মেঘ। বিজেপির অন্দরে সেই প্রশ্নই ঘুরছে। যদিও প্রলয় পাল নিজে দলত্যাগের দুঃখই বলছেন।