রাজ্যে অশান্তি তৈরি হতে পারে, সেই আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই প্রশাসন ও মন্ত্রীদের নজর রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, পিছনের দরজা দিয়ে রাজনীতি করে, উত্তরবঙ্গকে ভাঙার চেষ্টা করেছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বা অন্য রাজ্যের সঙ্গে মেশানো হবে- এমনই প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ ৷
তাঁর বক্তব্য, “বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব ব্যাকডোর পলিটিক্স করছেন। নানা কুৎসা করছেন। বঙ্গভঙ্গ করতে চাইছেন। আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার সব জায়গায় ছুটে যাচ্ছেন। বিজেপি রাজ্য ভাঙতে চাইছে। নিয়মিত ভাঙতে চাইছে। মানুষ বিজেপিকে দেখলেই প্রশ্ন করুক, কেন বাংলাকে ভাগ করতে চাইছ? এদের পুরোদস্তুর বয়কট করুন। আমরা মানুষের পাশে থাকব।”
তৃণমূলের অভিযোগ, উত্তরের বিজেপি সাংসদরা এই বিষয়ে দিল্লিতেও সরব হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, যখনই তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে, তখনই রাজ্য জুড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিয়ে অশান্তি পাকানো হয় ৷
কোচবিহারের তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, ‘বিজেপির আইটি সেল নানাভাবে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। রাজ্য নেতাদের সঙ্গে উত্তরের নেতাদের কথার মিল পাচ্ছি না। কেএলও নেতা জীবন সিং সেই আলাদা রাজ্যের কথা বলে ভিডিও পোস্ট করছেন’। একইসঙ্গে তার অভিযোগ, ‘যাঁরা ভাগ করতে চাইছেন, তাঁরা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করছেন। তাই জীবন সিংহ অস্ত্র আস্ফালন করেছেন।ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা উত্তরবঙ্গ নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব প্রকাশ্যে সম্মতি না জানালেও পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে তাঁরা যে এখনও অনড় তা বুঝিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে’।