‘ঈশ্বরের ইচ্ছায়’ ঘটে গেছে মোরবি ব্রিজের এত বড় দুর্ঘটনা, তিনিই প্রাণ নিয়েছেন প্রায় দেড়শো মানুষের। আদালতে এমনটাই দাবি করলেন ওরেভা সংস্থার ম্যানেজার দীপক পারেখ। সেতু সংরক্ষণকারী এই সংস্থার ম্যানেজার-সহ ৯ জন গতকাল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের জন্য কোনও আইনজীবী দাঁড়াবেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে গুজরাতের দু’টি বার অ্যাসোসিয়েশন। আজ, বুধবার মোরবি আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দীপক পারেখ নিজেই নিজের সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, ‘এটা ভগবানের ইচ্ছা ছিল। সে জন্যই এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।’
মোরবি পুলিশের তরফে এসপি পিএ জালা ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে তথ্যপ্রমাণ পেশ করে জানিয়েছেন, ব্রিজটির তারগুলিতে মর্চে পড়ে গিয়েছিল। সাত মাস ধরে যে সংস্কারের কাজ চলেছে, তাতেও সেগুলি সারানো হয়নি। তার উপর পরীক্ষানিরীক্ষা না করেই, পুরসভার ‘ফিট সার্টিফিকেট’ না নিয়েই তাড়াহুড়ো করে খুলে দেওয়া হয়েছে ব্রিজটি।
শুধু তাই নয়, ফরেন্সিক রিপোর্টে জানা গেছে, সংস্কারের সময়ে সেতুর ফ্লোর পরিবর্তন করে নতুন অ্যালুমিনিয়ামের পাত লাগানো হয় চার স্তরে, যা আগের চেয়ে অনেকটাই ভারী। কিন্তু বদলানো হয়নি ব্রিজের কেবলগুলি। ফলে সেতুর নতুন ফ্লোরের ওজন বহন করা মুশকিল হয়ে পড়ে কেবলগুলির পক্ষে। কেবল বদলানো হলে এত বড় বিপদ ঘটত না।