জোরকদমে চলছে কাজ। চলতি নভেম্বরেরর শুরু থেকেই ফের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শুরু হয়েছে রাজ্য মৎস্য দফতরের নতুন প্রকল্প মৎস্যজীবী নিবন্ধীকরণ। নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া সংঘ ভবনে দুয়ারে সরকার শিবিরে মৎস্য নিবন্ধীকরণ আবেদন জমা দিলেন পঞ্চম খন্ড জালপাই-এর বলরাম দাস, জীবেশ কুমার দাস, সোমনাথ বর্মন, বুদ্ধদেব বেরা, বাপি দাস, ভোলানাথ দাস প্রমুখ একদল নৌকা-মৎস্যজীবী। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে নন্দীগ্রাম ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে মৎস্যচাষী, খুচরো ও পাইকারি মৎস্য বিক্রেতা, নৌকা ট্রলারের মালিক ও নিযুক্ত কর্মী প্রভৃতিদের নিয়ে মৎস্যজীবী নিবন্ধীকরনের বিষয়ে আলোচনা সভা করেন নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু। মৎস্যজীবী ও মৎস্য সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের একটি তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত করা, যাতে তাদের পেশাগত সচিত্র পরিচয় পত্র সহ অন্যান্য সরকারি পরিষেবা প্রদান করা যায়।
উল্লেখ্য, ভবিষ্যতে কেবলমাত্র নিবন্ধীকৃত ব্যক্তিরাই সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন। এছাড়াও কোনো মৎস্যজীবীর দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যু হলে বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকার বীমা পাওয়ার জন্য বিবেচিত করা হবে তাঁকে। মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে কর্মরত কোন ব্যক্তি, জাল সারাই, নৌকা ও ট্রলারের মালিক ও নিযুক্ত কর্মী। মৎস্য খুটিতে বা মৎস্য খামারে কর্মরত কোন ব্যক্তি। মৎস্য বা কাঁকড়া শিকারের সঙ্গে যুক্ত। কাঁকড়া স্থূলকরণ প্রক্রিয়ায় সঙ্গে যুক্ত যে কোন ব্যক্তি, মৎস্য হ্যাচারির মালিক ও কর্মী। নন্দীগ্রাম এক ব্লকের দুয়ারে সরকার শিবিরে এসে এক মৎস্যজীবী বুদ্ধদেব বেরা জানান, ”আমি হলদি নদীতে ছোট্ট নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাই, কিছুদিন আগে আমাদের ঘাটে এসে ব্লক মৎস্য আধিকারিক এই বিষয়ে আলোচনা করে গেছিলেন, আজকে আমরা আবেদন পত্র জমা দিলাম।” নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, মৎস্যজীবী ও মৎস্য সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ কর্মের সাথে যুক্ত ব্যাক্তিদের নিয়ে একটি তথ্যভান্ডার প্রস্তুত করা হচ্ছে। পরবর্তীকালে তাদের পেশাগত সচিত্র পরিচয়পত্র ও অন্যান্য সরকারি পরিষেবা যাতে সুষ্ঠুভাবে প্রদান করা যায়, সেজন্যই এই পদক্ষেপ।