কেনিয়ায় পাকিস্তানি ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক আরশাদ শরীফের মৃত্যুতে উত্তেজনা বেড়েছে পাকিস্তানে। শরীফকে কেনিয়ার পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে। তারা জানিয়েছে ভুল পরিচয়ের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ছে তাঁরা। যদিও এক পিটিআই নেতার সঙ্গে একটি বিতর্কিত সাক্ষাৎকারের পরে তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহের নজরে রয়েছে আইএসআই।
শরীফের মৃত্যু বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বছরের পর বছর ধরে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত সাংবাদিকদের ক্রমবর্ধমান তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি নাম। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায় মেক্সিকোর নাম। সেখানে এক ডজনেরও বেশি সাংবাদিক এই বছরেই নিহত হয়েছেন। কিছু সাংবাদিক নিহত হয়েছে কার্টেলের হাতে এবং কিছু হত্যার পিছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থাকার সন্দেহ করা হয়। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা অথবা চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিবাদপূর্ণ অঞ্চলে সাংবাদিকরাও বিভিন্ন সময়ে তাদের জীবন দিয়ে কাজ করেছেন।
জাতিসংঘ ২ নভেম্বরকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে টু এন্ড ইম্পিউনিটি অফ ক্রাইম এগেন্সট জারনালিস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইউনেস্কোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৩ সাল থেকে সারা বিশ্বে ১,৫৬৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের কোনও না কোনও অংশে মোট ৯৫৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আরও ২,৬৫৩ সাংবাদিককে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে প্রতি চার দিনে একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং প্রতি তিন দিনে দুইজন সাংবাদিককে বন্দী করা হয়েছে।
ভারতে, উত্তর প্রদেশ ১২জন এবং বিহার নয় জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এই দুই রাজ্যে সবথেকে বেশি সাংবাদিক হত্যার খবর পাওয়া গিয়েছে। সর্বশেষ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বিহারের বেগুসরাই জেলার সাখো গ্রামে। সেখানে নিহত হন স্থানীয় সাংবাদিক সুভাষ কুমার মাহতো। এই বছরের ২০ মে মাহতোকে তার বাড়ির বাইরে দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করে। ইউনেস্কো জানিয়েছে ২০০৬ সাল থেকে মাত্র ১৩ শতাংশ সাংবাদিকের মৃত্যুর কিনারা হয়েছে। অন্যদিকে মহিলা সাংবাদিকদের মৃত্যুর হারেও বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। ২০২১-২০২২ সালে (৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) নিহত সাংবাদিকদের ১১ শতাংশ মহিলা। ২০২০ সালে এই মৃত্যুর হার ছিল ছয় শতাংশ।