নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন জুন মালিয়া। রাজনীতির ময়দানে পা রেখেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন অভিনেত্রী। বিধানসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। এ বার ক্রিকেট প্রশাসনেও চলে এলেন জুন। মেদিনীপুরের বিধায়ককে দেখা যাবে সিএবি-র প্রশাসনে। সোমবার সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। সেখানেই মেদিনীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন জুন। সিএবি-র কমিটি আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সোমবার সেই কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব নিল। ৯১তম বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করা এ দিন। নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিলেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। বৈঠকে হাজির ছিলেন তাঁর ভাই তথা প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। নতুন অ্যাপেক্স কাউন্সিল তৈরি হল এ দিন। আগামী বছর দেশের মাটিতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ আয়োজিত হতে চলেছে। বেশ কিছু ম্যাচ ইডেন গার্ডেন্সে আয়োজিত হওয়ার সম্ভাবনা। তাই ইডেনের ক্লাব হাউসের সংস্কার থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে ফ্লাডলাইট বসানো, ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রসঙ্গত, এদিন সভার পর জুন জানান, “পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের প্রতিনিধি হিসাবে আমি সিএবি-র সভায় মনোনীত হয়েছি। ক্রিকেট প্রশাসন আমার কাছে একেবারেই নতুন নয়। আমি কলকাতার মেয়ে। তাই এখানকার ক্রিকেটে যা হচ্ছে সেটা ভালই খবর রাখি। দাদা (সৌরভ), স্নেহাশিস এবং বাকি ক্লাবের কর্মকর্তাদের অনেককেই চিনি। আজ বাকিদের সঙ্গে আলাপ হল।” পাশাপাশি তিনি বলেন, ভাল কাজের আশা নিয়েই প্রশাসনে এসেছেন। “যে জেলার প্রতিনিধি, সেই জেলার যাতে উন্নতি হয় সেটা সবার আগে চেষ্টা করব। ইচ্ছে রয়েছে জঙ্গলমহল থেকে প্রতিভাবান মহিলা ক্রিকেটারদের তুলে আনার। ওরা অনেকেই খেলাধুলোর প্রতি আগ্রহী। কিন্তু যথেষ্ট সুযোগ পায় না। সেই সুযোগটাই আমি করে দিতে চাই”, জানিয়েছেন অভিনেত্রী।