মধ্যরাতে বিপর্যস্ত পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। রাজ্য সরকারের তরফে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন। গুজরাতের মোরবি সেতু বিপর্যয়ে প্রাণ গিয়েছে পূর্বস্থলীর কিশোর হাবিবুল শেখের। সোমবার মধ্যরাতে তাঁর কফিনবন্দি মৃতদেহ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তার আগেই সেখানে পৌঁছে যান রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ছিলেন এলাকার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা শোকাহত, মর্মাহত। কিশোর হাবিবুলের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নাই। ওই কিশোরের মা গুরুতর অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার সব রকম ভাবে এই পরিবারের পাশে থাকবে।’
মন্ত্রীর কথায়, ‘আমি ভোরের দিকে আসতাম। রাজ্য সরকারের তরফে নবান্ন থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলাও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাই আমি আগেই এখানে চলে এসেছি। মৃতদেহ নামানোর পর যাব। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবেই এখানে এসেছি। রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই এই পরিবারের পাশে সবসময় থাকবে।’
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা গুজরাত মডেলে প্রাণ যাওয়ার নমুনা। এরকম অনেক হয়েছে। বিভিন্নভাবে প্রাণ গিয়েছে। একটা ঝুলন্ত ব্রিজ, তার নিরাপত্তা অনেক বেশি জোরদার হওয়া উচিত ছিল। সেটা দেখভালের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের গাফিলতি ছিল বলেই মনে হয়। এই ব্রিজে ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি লোক উঠে পড়েছিল। তার থেকে এই বিপত্তি হয়েছে। এমনই হয় গুজরাত মডেল, প্রমাণ হয়ে গেল।’