গত ১১ অগস্ট সকালে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তার কিছু সময় পরেই গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার হন অনুব্রত। আর সেই থেকেই তাঁর জন্য ঘন ঘন বেজে উঠছে আসানসোল জেলের ল্যান্ডটফোন। যা নিয়ে কার্যত তিতিবিরক্ত জেল কর্তৃপক্ষ।
কেউ সাত সকালে ফোন করে বলছেন, কেষ্টদা চা খেয়েছেন? উনি কেমন আছেন? তো খানিকবাদেই কোনও অনুরাগী ফোন করে বলছেন, ঠিক সকাল পৌনে নটায় দাদার প্রেসারের ওষুধ খাওয়ার কথা। খেয়েছেন তো? তেমনই দুপুরের খাবার খেলেন কিনা, কী খেলেন, সারাদিন জেলের ভিতর কী করছেন— এইরকম অসংখ্য কৌতূহলের নিরসন করতে হচ্ছে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে।
এমনিতেই জেলে কর্মীর অভাব রয়েছে। তারমধ্যে সারাক্ষণ একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ল্যান্ড ফোনের সামনে। জেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুজোর সময়ে, কালীপুজোর দিন রেকর্ড ফোন এসেছে। কেউকেউ বিজয়ার পরে ফোন করে নাকি আবদারও করেছিলেন, দাদাকে দিন না ফোনটা! প্রণাম জানাব।