ফের অঘটনের সাক্ষী রইল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে হারের পরে এবার জিম্বাবোয়ের কাছেও হারলেন বাবর আজমরা। বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করে ১৩০ রান করে জিম্বাবোয়ে। কিন্তু সেই রান তাড়া করতে গিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। পর পর উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত ১ রানে হারতে হয় বাবরদের। এদিন সিডনিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। শুরুটা খুব ভাল করে জিম্বাবোয়ে। প্রথম তিন ওভারে ৩১ রান ওঠে। পাওয়ার প্লে-র পঞ্চম ওভারে অধিনায়ক আরভিনকে আউট করে জিম্বাবোয়েকে প্রথম ধাক্কা দেন হ্যারিস রউফ। পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন আর এক ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে। দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে জিম্বাবোয়ে। মিডল অর্ডারে শন উইলিয়ামস ছাড়া কেউ রান পাননি। মিডল অর্ডারে বল হাতে জ্বলে ওঠেন মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। এই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে তাকে কাজে লাগালেন তিনি। চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। ভাল বল করেন রউফ। উইলিয়ামস করেন ৩১ রান। ১৩০ রানে শেষ হয় জিম্বাবোয়ের ইনিংস।
এরপর রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। দ্রুত আউট হন দুই ওপেনার বাবর ও রিজওয়ান। বাবর ৯ বলে ৪ রান করেন। রিজওয়ান করেন ১৬ বলে ১৪ রান। ভারতের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করা ইফতিকার আহমেদও ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিন উইকেট পড়ে গেলেও এক দিকে ভাল খেলছিলেন শান মাসুদ। আগের দিনের মতো সাবলীল ছন্দেই খেলছিলেন তিনি। শাদাব খানের সঙ্গে জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন তিনি। খুব বেশি বড় শট মারতে না পারলেও এক-দু’রান করে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন তিনি। দু’জনের মধ্যে ৫০ রানের জুটি হয়। দেখে মনে হচ্ছিল, ম্যাচ জিতে যাবে পাকিস্তান। এরপর সিকন্দর রাজার ওভারে একটি ছক্কা মারার পরে আরও একটি ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন শাদাব। তিনি ১৭ রান করেন। পরের বলেই হায়দার আলিকে আউট করেন সিকন্দর। খেলা আবার ঘুরে যায়। সিকন্দরের পরের ওভারে ৪৪ রান করে স্টাম্পড হন মাসুদ। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রান। একটি চার মারেন ওয়াসিম। ২ বলে জেতার জন্য ৩ রান দরকার ছিল। কিন্তু নওয়াজ় আউট হয়ে গেলে ১ বলে ৩ রান করতে হত পাকিস্তানকে। শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রানআউট হন শাহিন আফ্রিদি। ১ রানে ম্যাচ জিতে নেয় জিম্বাবোয়ে। স্বাভাবিকভাবেই টানা দুই ম্যাচে হারার পর সমস্যায় বাবররা। সেমিফাইনালের লড়াইতে থাকতে হলে বাকি তিনটে ম্যাচেই জিততে হবে তাঁদের।