বিদেশি বাজারের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা এবং মান্ডিগুলিতে কম সরবরাহের মতো পরিস্থিতির জেরে দিল্লির তৈলবীজ বাজারে বুধবার সরষের তেল, তৈলবীজ এবং তুলো বীজ তেলের দাম বেড়ে গিয়েছে। যেখানে চিনাবাদাম, সয়াবিন তেলের তৈলবীজ, সিপিও এবং পামোলিন তেলের দর আগের স্তরেই বন্ধ হয়েছে। সূত্রের খবর, বুধবার মালয়েশিয়া এবং শিকাগো এক্সচেঞ্জে যে বাণিজ্য হয়েছে, তাতে মালয়েশিয়া এক্সচেঞ্জে অর্ধ শতাংশ উর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছে। বুধবার রাতে শিকাগো এক্সচেঞ্জে তিন শতাংশ উর্ধ্বগতিতে বন্ধ হয়েছে। তা আবার ১.২৫ শতাংশ বেড়েছে।
ভোজ্য তেলের অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সরকার বছরে ২০ লক্ষ টন আমদানি শুল্ক-মুক্ত করার পর বাজারে সরবরাহ স্বল্পতার সৃষ্টি হয়েছে এবং এর প্রভাব পড়েছে বাকি তেল ও তৈলবীজের দামের উপর। সরকারের এই সিদ্ধান্তে কৃষক, তেল শিল্প বা উপভোক্তা – কেউই উপকৃত হচ্ছেন না। তাই অবিলম্বে নিজেদের কোটা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত সরকারের।
সূত্র জানাচ্ছে যে, আমদানি করা সিপিও এবং পামোলিন তেল বন্দরে পৌঁছতে প্রায় ১০-১৫ দিন সময় লেগে যায়। আবার সয়াবিন এবং সূর্যমুখীর মতো হালকা তেল আমদানিতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লেগে যায় বলে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সূত্রের খবর, তেল শিল্পের শীর্ষস্থানীয় সংস্থা সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (এসইএ) শুধুমাত্র সিপিও, পামোলিন তেলের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। তবে সূর্যমুখী এবং সয়াবিন তেলের কথা উল্লেখ করাও উচিত ছিল সংস্থাটির। সরকারের কাছে ওই সূত্রটির দাবি, এই সব তেল আমদানির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে এই সব তেলের উপর ১০-১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করতে হবে। আসলে প্রতি লিটার সূর্যমুখী তেল ৩০-৪০ টাকা বেশি দামে পাচ্ছেন গ্রাহকরা। এই পদক্ষেপের জেরে এই দর অনেকটাই সস্তা হবে এবং রাজস্বও পাবে সরকার। শুধু তা-ই নয়, কৃষকদের পাশাপাশি তেল শিল্পও লাভবান হবে।