বুধবারই আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের নতুন সভাপতির পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। বিলম্ব না করেই দলের সাংগঠনিক রদবদলে সক্রিয় হলেন তিনি। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক মঞ্চ ওয়ার্কিং কমিটির কাজ চালানোর জন্য বুধবার ৪৭ সদস্যের নয়া স্টিয়ারিং কমিটি গড়েছেন খাড়গে। ওই কমিটিতে বাংলা থেকে রয়েছেন একমাত্র অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস সংবিধানের ২৫(বি) ধারা অনুযায়ী গঠিত এই কমিটি এ বার ওয়ার্কিং কমিটির পরিবর্ত হিসাবে কাজ করবে বলে এআইসিসি-র তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন খাড়গে। নয়া সভাপতিকে নিজের ‘টিম’ গঠনের সুযোগ করে দিতে বুধবার সকালে ওয়ার্কিং কমিটির সব সদস্য ইস্তফা দেন। বিকেলে ঘোষিত হয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের নাম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাধারণ ভাবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে ২৩ জন সদস্য থাকেন। স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য থাকেন ২৪ জন। ৪৭ জনের নয়া স্টিয়ারিং কমিটি সেই ভূমিকা পালন করবে। সভাপতি ভোটে খাড়গের প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর ঠাঁই পাননি কমিটিতে। যদিও তিনি কখনও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির স্থায়ী বা আমন্ত্রিত সদস্য ছিলেন না। ৪৭ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটিতে দুই প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুলের পাশাপাশি রয়েছেন প্রিয়াঙ্কাও। রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং একে অ্যান্টনি, দিগ্বিজয় সিংহ, পি চিদম্বরম, পবনকুমার বনসল, মীরা কুমার, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, অম্বিকা সোনি, ভক্তচরণ দাস, সলমন খুরশিদের মতো প্রবীণ নেতা-নেত্রীরা। পাশাপাশি, আরও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দুই কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী, কমিটিতে জায়গা হয়নি রাজস্থানের অশোক গেহলট এবং ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বঘেল। রয়েছেন হরিশ রাওয়ত, উম্মেন চান্ডি, লালথানহাওলার মতো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা। বাংলা প্রদেশে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক তথা তামিলনাড়ুর সাংসদ এ চেল্লাকুমারও রয়েছেন নতুন কমিটিতে। রাহুল-ঘনিষ্ঠ রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালা, অজয় মাকেন, জিতেন্দ্র সিংহ, কুমারী শেলজা, মণিকম টেগোররা ঠাঁই পেলেও জায়গা পাননি তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় নেতা সচিন পাইলটের। নবগঠিত কমিটিতে রয়েছেন বিসিসিআই কর্তা রাজীব শুক্ল ও কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী জি-২৩’ গোষ্ঠীর নেতা আনন্দ শর্মা।