সাম্প্রতিক কালে বারবারই রক্তাক্ত হয়ে উঠছে উপত্যকা। তবে ভূস্বর্গে কাশ্মীরি পণ্ডিত থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের রক্ত ঝরলেও কেন্দ্রীয় সরকার তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করছে, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে। এরই মধ্যে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত সোমবার নয়টি কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার উপত্যকার শোপিয়ান জেলা থেকে জম্মুতে চলে গিয়েছে। এমাসের ১৫ তারিখ শোপিয়ানে জঙ্গিদের হাতে একজন পণ্ডিত পরিবারের এক কৃষক নিহত হন। তারপর আতঙ্ক চরমে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, জঙ্গিরা টার্গেট করায় গত কয়েক মাসে অন্তত ১৭টি পণ্ডিত পরিবার কাশ্মীর ছেড়েছে। কাশ্মীর পণ্ডিত সংগ্রাম সমিতির (কেপিএসএস) সভাপতি সঞ্জয় টিকু সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, উপত্যকা ছেড়ে যাওয়াদের মধ্যে এমন পরিবারও আছে যারা গত শতকে নয়ের দশকে ভয়ানক সন্ত্রাসের মুখেও মাটি কামড়ে থেকে গিয়েছিলেন। হালে চলে যাওয়া অনেক পরিবারের ক্ষেতে আপেল পড়ে আছে। অনেকে তা প্যাকেট বন্দি করার পরও বিক্রির অপেক্ষায় না থেকে চলে গিয়েছে।
গত ১৫ অক্টোবর জঙ্গিরা পুরাণ কৃষাণ ভাট নামে এক আপেল চাষিকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। চৌদারী গুন্ড এলাকায় বাড়ির কাছেই খুন করা হয় তাঁকে। ভাটের হত্যাকাণ্ড বাড়তি আতঙ্কের কারণ হয় তাঁকে দিনে-দুপুরে বাড়ির কাছে খুন করায়। পরিবারের লোকেরাই ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। হালে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারেবারে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীর অনেকটাই শান্ত। এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের গোড়ায় সেখানে বিধানসভা নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু সন্ত্রাসের মুখে পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষের উপত্যকা ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা দিল্লীর দাবিকে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।