একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে মুষল পর্ব চলছে! সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ— নানা ভাবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে দলেরই অন্য অংশকে। একের পর এক পুরভোট, উপনির্বাচনে হারের পর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বড় চেহারা নিয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ায়। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন যখন দোরগড়ায় এসে কড়া নাড়ছে ঠিক তখন নতুন করে পদ্মশিবিরের আদি-নব্য দ্বন্দ্বে আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে।
দলবিরোধী কাজের অভিযোগে পাঁশকুড়া পুরসভার এক বিদায়ী বিজেপি কাউন্সিলর-সহ চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে পদ্মপার্টি। আর সেই বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে, বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুপারিশেই। অন্তত এমনটাই অভিযোগ তোলা হয়েছে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাদের অনুগামীদের তরফে। যে ৪জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁরা হলেন, পাঁশকুড়া পুরসভার বিদায়ী বিজেপি কাউন্সিলর সিন্টু সেনাপতি, বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার কনভেনার প্রতীক পাখিরা, বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য উত্তম সেনা এবং বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি কৌশিক জানা।
গত ২৫ অগস্ট পাঁশকুড়ায় বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে আক্রান্ত হয়েছিলেন দলেরই কয়েকজন নেতাকর্মী। ওই ঘটনায় দলের তৎকালীন কাউন্সিলর সিন্টু সেনাপতি-সহ সাত নেতার বিরুদ্ধে উঠেছিল হামলার অভিযোগ। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তাঁদের মারধর করা হয়েছিল। বিষয়টি তাঁরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানান। তার জেরে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে হামলাকারীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বিজেপির নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগেই বহিষ্কার করা হয়েছে দলেরই চার নেতাকে। এ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তাদের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, এটা বিজেপির আদি ও নব্যর লড়াই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে প্রবল, তা আরও একবার প্রমাণিত হল।