অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শুরু হতে চলেছে টি-টোয়েন্টির বিশ্বযুদ্ধ। তুঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা। মাত্র তিন দিন পরেই মেগা ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ইতিমধ্যে মেলবোর্নে পৌঁছেও গিয়েছেন রোহিত-বিরাটরা। প্রস্তুতির মাঝেই ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া জানালেন, তাঁর চোট সারিয়ে ফিরে আসার পিছনে পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এবারের আইপিএল থেকেই দেখা যাচ্ছে দুরন্ত হার্দিককে। গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ব্যাটে-বলে সপ্রতিভ থাকার পাশাপাশি দলকে চ্যাম্পিয়নও করেছেন। দেশের জার্সি গায়েও তাঁকে দেখা গিয়েছে চমৎকার ছন্দে। “আমি সব কিছু ইতিবাচক ভাবে দেখছি। সেই কারণে আমার জীবনে এখন অনেক শান্তি। আমি জানি কোনও দিন ভাল যাবে, কোনও দিন খারাপ যাবে। কিন্তু পরিশ্রম করে যেতে হবে। তাতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজেকে উজাড় করে দেওয়া যায়। পরিবারের সমর্থন থাকায় খেলার উপর পুরো নজর দিতে পেরেছি”, বিশ্বকাপ শুরুর আগে জানালেন হার্দিক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিশ্রাম নেন হার্দিক। এরপর আইপিএলে মাঠে ফেরেন তিনি। গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক হয়ে ট্রফিও জেতেন। সেই সাফল্যের পিছনে পরিবারের অবদান রয়েছে বলে জানালেন হার্দিক। তিনি বলেন, “আমাকে আমার মতো করে গুছিয়ে নিতে সাহায্য করেছিল গোটা পরিবার। নিজেকে সময় দিতে পেরেছি। বুঝতে পেরেছি আমি ঠিক কী চাইছি।” স্ত্রী নাতাশা, দাদা ক্রুণালের কথাও বলেন তিনি। “নাতাশা, অগস্ত্য (হার্দিকের পুত্র), ক্রুণালের কথা বলতে হবে। সকলে আমাকে খুব সাহায্য করেছে। আমি পুরোপুরি খেলা নিয়ে ভাবতে পেরেছি। এর ফলে এমন কিছু মনে পড়েছে যা ভুলে গিয়েছিলাম। লিখে না রাখলে এমন হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে খেলার পরেও এমন হতে পারে”, জানিয়েছেন ভারতের অলরাউন্ডার।