এখনও স্তিমিত হয়নি ক্ষোভের আগুন। বিলকিস
বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অব্যাহত প্রতিবাদ। এদিকে এই ইস্যুতে বিজেপি নেতাদের ঔদ্ধত্যও সীমা ছাড়িয়েছে। ধর্ষকদের আগাম মুক্তি দেওয়ার সপক্ষে এবার সওয়াল করলেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গুজরাটে ভোটপ্রচারে গিয়ে কেন্দ্রের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি এর মধ্যে কোনও অন্যায় দেখছি না। যা হওয়ার, আইন মেনেই হয়েছে।” মন্ত্রীর আরও দাবি, ধর্ষকরা দীর্ঘ সময় কারাবন্দী থেকেছেন। তাই তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। প্রসঙ্গত, গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে গুজরাট সরকার জানায়, জেলে ভাল আচরণ করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বিলকিসের ধর্ষকদের। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাটের গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গা চলাকালীন সময়ে অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে ধর্ষণকে করেন ১১ জন। তাঁর শিশুকন্যা-সহ পরিবারের সাত জন সদস্যকে তাঁর চোখের সামনেই খুন করা হয়। গুজরাটের নিম্ন আদালত অভিযুক্ত এবং পরে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। কিন্তু দোষীরা ১৪ বছর জেল খাটার পর তাঁদের আগাম জামিন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে কাছে আবেদন জানায় গুজরাটের বিজেপিশাসিত সরকার। ২৮শে জুন গুজরাট সরকারের তরফে এই আবেদন জানানো হলে ১১ই জুলাই সেই আবেদন মঞ্জুর করে কেন্দ্র। ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন ১১ জনকেই মুক্তি দেওয়া হয়। জেলের বাইরে তাদের ফুল এবং মালা দিয়ে বরণ করা হয়। অন্য দিকে বিলকিস জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। বিলকিসের স্বামী বলেন, “আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।” ধর্ষকদের আগাম মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয় একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। ঘটনাচক্রে, ১৫ই আগস্ট লালকেল্লা থেকে ভাষণে নারী ক্ষমতায়নের পক্ষে জোর সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল নিন্দার মুখে পড়ে মোদী সরকার।