বরাবরই শরীর নিয়ে ওয়াকিবহাল তিনি। ফিটনেসই মূলমন্ত্র তাঁর। জিমে যাওয়া কখনও বাদ দেন না। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও যথেষ্ট সচেতন। অতঃপর যোগ্যতম হিসাবেই ভারতের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটারের নাম বিরাট কোহলি। বোর্ডের প্রকাশিত সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে তেমনটাই। সম্প্রতি জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) পারফরম্যান্স নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বোর্ড। সেখানে সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটারের নাম দিয়ে তালিকা প্রকাশ করা হয়নি ঠিকই। তবে কারা ক’বার এনসিএ-তে চোটের শুশ্রূষা করতে গিয়েছেন, সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ২০২১-২২ মরসুমে এক বারও চোট সারাতে এনসিএ-তে যেতে হয়নি বিরাটকে। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২৩ জন ক্রিকেটার চোট সারাতে এনসিএ গিয়েছেন। সেই তালিকায় নেই শুধু বিরাটের নাম।
বিসিসিআইয়ের সিইও হেমঙ্গ আমিন এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ৭০ জন ক্রিকেটারের ৯৬টি জটিল চোট সারিয়ে তুলেছে এনসিএ। এর মধ্যে ২৩ জন ভারতের মূল দলের সদস্য, ২৫ জন ‘এ’ দলের, এক জন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের, সাত জন মহিলা দলের এবং ১৪ জন রাজ্য দলের। বিরাটের ফিটনেস সম্পর্কে বোর্ডের এক সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “বেশির ভাগ ক্রিকেটার মাঠেই চোট পেয়েছেন। সূর্যকুমারের মতো কারওর হাড়ে চিড় ধরেছে। অনেকে একই চোট নিয়ে একাধিক বার এসেছে। কিন্তু কোহলি নিজেকে এতটাই ফিট রেখেছে যে কখনও হ্যামস্ট্রিং বা পেশির চোটেও ওকে এনসিএ যেতে হয়নি।” প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২৩ জনের মধ্যে অধিনায়ক রোহিত শর্মা (হ্যামস্ট্রিং), সহ-অধিনায়ক কেএল রাহুল (হার্নিয়া), চেতেশ্বর পুজারা, শিখর ধাওয়ান, হার্দিক পাণ্ড্য, রবীন্দ্র জাডেজা-সহ বাকি ক্রিকেটাররা কোনও না কোনও সময় এনসিএ-তে চোট সারাতে গিয়েছেন। কিন্তু ব্যতিক্রম কেবল বিরাট।
