মঙ্গলবার বেশি রাতে মুম্বই থেকে শহরে ফিরেই বেহালার বীরেন রায় রোডের বাড়িতে ঢুকে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সারাদিন বাড়িতেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ দুপুরে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে হাজির ছিলেন ‘মহারাজ’। সাফ জানিয়ে দিলেন যে, এবার অন্য কিছু তিনি করতেই পারেন। সৌরভ নতুন ইনিংসেরই ইঙ্গিত দিলেন নিজের শহরে বসে।
এদিন সৌরভ বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ওয়ানডে ম্যাচের দিন জানতে পারি টেস্ট খেলব। তিন সপ্তাহ পর লর্ডসে ছিল সেই টেস্ট। আমি শতরান করি। পঙ্কজ রায়ের পর বাংলা থেকে দীর্ঘদিন কেউ খেলেননি। আমি অতীত নিয়ে ভাবি না। ভবিষ্যতে বাঁচি। সচিন-দ্রাবিড়রা একশোর বেশি টেস্ট খেলেছে। ওদের সঙ্গে আমিও খেলেছি। লর্ডসের সেঞ্চুরি করেছিলাম শনিবার। এত বছর পরেও ভুলিনি। স্কোরবোর্ডে তাকাইনি। প্রথমে কুড়ি ও তারপরে ৩০। আমি এভাবেই এগিয়েছি। স্পোর্টসে সাফল্য রাতারাতি আসে না’।
সৌরভের বিসিসিআই ছাড়ার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। সূত্রের খবর তাঁর বিজ্ঞাপন, সিদ্ধান্তগ্রহণ নিয়ে খুশি ছিলেন না বোর্ড কর্তারা। সৌরভ বোর্ডের স্পনসরের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন, যা মোটেও ভালোভাবে নেননি বোর্ড কর্তারা। এছাড়া আছে অধিনয়াকত্ব নিয়ে বিরাট কোহলির সঙ্গে বিবাদ। সম্প্রতি সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ঋদ্ধিমান সাহা ইস্যু। ঋদ্ধি জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে ,সৌরভের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। জানান, সৌরভ নিশ্চিত করেছিলেন ঋদ্ধিকে যে তিনি জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন। সূত্রের খবর এই সবকিছু সৌরভের বিপক্ষে যায়।