শিক্ষাক্ষেত্রে নয়া উদ্যোগ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার বাংলার মেধাস্বত্বের স্বীকৃতি আদায়ে ‘আইডিয়া ক্লিনিক’ চালু করল রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর। উক্ত ক্লিনিকের প্রশাসনিক নাম দেওয়া হয়েছে ‘টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট অ্যাডপটেশন সেন্টার’। দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই কেন্দ্র থেকে নানা ধরনের সহায়তা পাবেন রাজ্যের মেধাবীরা। কেউ তাঁর আবিষ্কারকে আরও উন্নত রূপ দিতে চাইলে মিলবে প্রযুক্তিগত সহায়তা। তার জন্য বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। পাশেই রয়েছে আইআইএম ইনোভেশন পার্ক। তাদের মাধ্যমে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের সুযোগও পেতে পারেন কোনও উদ্ভাবক। কোনও পণ্যের পেটেন্ট পেতে সম্পূর্ণ প্রশাসনিক সহযোগিতা করবে এই সেন্টার। “কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় বহু প্রতিভাবান মানুষ আছেন, পেটেন্টের বিষয়ে যাঁদের খুব স্পষ্ট ধারণা নেই। তাই আমাদের দফতর জনশিক্ষা প্রসার দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছে। ইতিমধ্যে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে”, এমনই জানিয়েছেন সেন্টারের বিজ্ঞানী মহুয়া হোমচৌধুরী।
উল্লেখ্য, ‘আইডিয়া ক্লিনিক’ চালুর ফলে উপকৃত হবেন রাজ্যের বহু উদ্ভাবক। যাঁরা নিজেদের মেধায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আবিষ্কার করেন। অথচ তার সুফল তাঁরা অনেকে সময়ই পেতেন ন। যেমন, কেউ সৌর বিদ্যুৎ চালিত বাইক আবিষ্কার করেছেন যা চলবে পেট্রোল-ডিজেল ছাড়াই। আবার অনেকে জলের বোতলের এমন ছিপি তৈরি করেছেন, যা জলের জীবাণু ধ্বংস করবে। তার জন্য কোনও বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে না। ‘আইডিয়া ক্লিনিক’-এর সুবাদে তাঁদের নিজেদের আবিষ্কৃত জিনিসের জন্য পেটেন্ট পেতে সুবিধা হবে। এর ফলে তাঁদের আবিষ্কৃত পণ্যের মেধাস্বত্ব যেমন অন্য কেউ চুরি করতে পারবে না, তেমনি তাঁর নিজের আবিষ্কৃত পণ্য বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং বাড়তি সুবিধা পাবেন। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।