‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিতে যে নারী সুরক্ষার শিকেয় উঠেছে এবার ফের মিলল তার প্রমাণ। এবার বিজেপি শাসিত আসামে লজ্জা। ধর্ষণের পর গলায় ছুরির কোপ মারা হল কিশোরীকে। পরিবারের সদস্যেরা জানাচ্ছেন, বিবস্ত্র অবস্থায় বাড়ি ফিরে রক্তমাখা হাতে মেয়েটি লিখে জানান, মহাষ্টমীর রাতে সঞ্জয় তেলি নামে এক যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেছিল। তার পর ছুরি দিয়ে তাঁর গলার অনেকটা কেটে দেয়। গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল। আর কিছু মনে নেই তার। কিশোরী আরও লেখেন, ‘আজ (নবমীর দিন) সকালে আমারজ্ঞান ফেরে। দেখি আমি বস্তাবন্দি। চিৎকার করতে চেয়েছি, গলা দিয়ে আওয়াজ বার হয়নি। চেষ্টা করেছি আঙুল বার করে বস্তা ছেঁড়ার। দাঁত দিয়েও কেটেছি খানিকটা। পরে কোনও ক্রমে হাত বার করি। বস্তার মুখ খুলে বেরিয়ে আসি।’
গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক মেয়েটির অবস্থা দেখেই তাঁকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠান। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন সে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মেয়েটির গলায় এক বার অস্ত্রোপচার হয়েছে। তরল খাবার টিউবের সাহায্যে খাওয়ানো হচ্ছে তাঁকে। ধর্ষণের তদন্তে নমুনা সংগ্রহ করে মুম্বইয়ে পাঠানো হয়েছে। দু’তিন দিনে তার রিপোর্ট আসার কথা। পুলিশ মেয়েটির লেখা পড়ে সঞ্জয় তেলিকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, সে দোষ স্বীকার করেছে। চা বাগানের ঘন জঙ্গলে ওই যুবককে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। কাছেই পড়েছিল বস্তাটি। তার মধ্যে ছিল কিশোরীর পোশাক। কাছাড়ের বিভিন্ন সংস্থা এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে সরব হয়েছে।