বুধবার, দশমীর দিন বিসর্জন চলাকালীন জলপাইগুড়ির মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় হড়পা বানের জেরে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য। মাল নদীতে এই দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল? পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল কিনা? প্রশাসনিক স্তরে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা? সেসব নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে রাজ্যজুড়ে বিসর্জন নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, মালের দুর্ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নবান্ন থেকে একটি ভারচুয়াল বৈঠক করেছেন। যে সব এলাকায় হড়পা বান হওয়ার প্রবণতা আছে বা দুর্ঘটনাপ্রবণ ঘাটগুলিতে বিসর্জনের সময় কড়া সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাপ্রবণ ঘাটগুলিতে বিসর্জনের সময় জেলাশাসক এবং মহকুমাশাসকদের উপস্থিত থাকতে হবে। সব বিসর্জনের ঘাটেই প্রশাসনের নীচুস্তরের আধিকারিকদের প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিসর্জনের সময় কেউ যাতে নদীতে না নামতে পারেন, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
অন্যদিকে ল, প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রক্রিয়া এখনও বহু জায়গাতেই বাকি রয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে বড় বাজেটের পুজোগুলিতে সম্প্রতি দশমীর পরও প্রতিমা মণ্ডপে রেখে দেওয়ার চল শুরু হয়েছে। ফলে জেলাগুলিতে আরও দু’দিন চলবে নিরঞ্জন। তাতে যাতে আর কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে সবরকম পদক্ষেপ করছে রাজ্য। বস্তুত, মালের দুর্ঘটনার পরই রাজ্যজুড়ে বিসর্জনের ক্ষেত্রে কড়া নবান্ন। মালের দুর্ঘটনাগ্রস্তদেরও যাতে কোনওরকম সমস্যায় পড়তে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন।