কঠিন লড়াই। জয়ের সম্ভাবনা কার্যত নেই। তবু হাল ছাড়তে নারাজ শশী থারুর। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের জন্য মল্লিকার্জুন খাড়্গে সেভাবে প্রচারে না নামলেও শশী থারুর প্রচার করছেন রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে। আগামী ১২ অক্টোবর কলকাতাতেও আসছেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ।
কংগ্রেসে দলীয় সভাপতি পদে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। সেবার সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের নেতা জিতেন্দ্র প্রসাদ কিন্তু প্রচারের বালাই ছিল না। দিল্লি আর লখনউয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল জিতেন্দ্রর আনাগোনা। আর সোনিয়া তো ১০ জনপথের বাইরেও বের হননি। কিন্তু এবারের ভোটটা অন্যরকম। গান্ধী পরিবারের কেউ লড়াইয়ে নেই। তাই সব পক্ষের কাছেই কমবেশি সুযোগ রয়েছে দলের শীর্ষ পদে উঠে আসার। থারুর তাই প্রচারে কোনওরকম খামতি রাখছেন না। এরই মধ্যে তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ দাবি করেছেন, খোদ রাহুল গান্ধী নাকি চাইছিলেন তিনি লড়াইয়ে নামুন।
শেষবার তিনি এসেছিলেন অন্য ভূমিকায়। এবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের প্রচারে আসছেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, থারুরের জন্য একটি ঘরোয়া সভার আয়োজন করা হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্যদের বলা হয়েছে সেই সভায় অংশ নিতে। তাঁরাই দলীয় নির্বাচনে ভোটার। প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য, অর্থাৎ এই নির্বাচনের ভোটারদের কাছে নিজের কথা বলতে আসছেন শশী। এককথায় দলীয় ভোটের প্রচারে আসছেন তিনি।
সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়তেন শশী থারুর। তাঁদের গোটা পরিবার একটা সময় কলকাতায় বসবাস করত। তিরুবনন্তপুরমের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার পরও থারুরের সঙ্গে কলকাতার পুরনো বন্ধুদের যোগাযোগ তো রয়েইছে, প্রায় প্রতি বছরই কোনও না কোনও সাহিত্যসভায় যোগ দেন শহরে। এবার ভিন্ন ভূমিকায়। কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনের মূল দুই প্রার্থীর তিনি একজন। এখন দেখার থারুরের ডাকে বাংলার কংগ্রেসিরা সাড়া দেন কিনা।