দেখতে দেখতেই শেষবেলায় দুর্গাপুজো। আজ বিজয়া দশমী। বিষাদের আবহ বাঙালির মনে। বুধবার ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত টাকিতে দেখা যাবে দুই দেশের মানুষের মেলবন্ধন। তাদের কাছে এই দিনটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে ইছামতীর তীর। সে নিয়েই বৈঠক সেরে নিলেন বিএসএফ-বিজিবি জওয়ানরা। প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই বৈঠক করেছে বিএসএফ-বিজিবি। টাকি পুরসভা-সহ বসিরহাট পুলিশ গোটা এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছে। ইছামতীর রাজবাড়ি ঘাট, ঘোষবাবুর ঘাট, সৈয়দপুরের ঘাটে বাড়ানো হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বিএসএফ ও বিজিবি ইছামতীর মাঝে পেট্রলিং করবে। মেডিক্যাল টিমকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছরই দশমীর দিন ইছামতী নদীতে এই ঐতিহ্যবাহী বিসর্জন হয়। বহু মানুষ আসেন বসিরহাটের টাকিতে। এই বিপুল পরিমাণ মানুষকে সামলাতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তৎপর হয়ে ওঠে। তাই নিজেদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইছামতী নদীর মাঝে একটি দড়ি দিয়ে সীমারেখা চিহ্নিত করে ফেলা হয়েছে। ইছামতী নদীতে বিসর্জন ঘিরে সবরকম কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। দুই দেশের প্রতিমার নৌকা এবং দর্শনার্থীরা কেউ কারও সীমান্ত অতিক্রম করবে না। তা নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে বসিরহাট পুলিশের পক্ষ থেকে। এমনই জানিয়েছেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জবি থমাস।