একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে বিজেপির তরফে অতিরিক্ত বাংলা প্রীতি দেখা গিয়েছিল। রাজ্যবাসীর মন জিততে উঠেপড়ে লেগেছিল তারা। যার ফলস্বরূপ ২০২০ সালে ইজেডসিসি-তে দুর্গাপুজো করেছিল গেরুয়া শিবির। যে পুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে একুশের ভোটে ভরাডুবির পরেই বঙ্গ বিজেপি নেতাদের উৎসাহে ভাটা পড়েছে। গতবার নমো নমো করেই পুজো সেরেছিলেন তাঁরা। আর এবার পুজোর পাট পুরোপুরি চুকিয়ে দিতে চলেছেন। ষষ্ঠীর দিন ইজেডসিসিতে দলের পুজো উদ্বোধনে এসে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজেই সেকথা জানান। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা। অনেকেই বলছেন, এই সিদ্ধান্তে বিজেপির দেউলিয়াপনা প্রকাশ্যে এসেছে।
এ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি বলছে আর পুজো করবে না। বলছে, এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ওদের দম ফুরিয়ে যাচ্ছে। তৎকাল বিজেপি এই পুজোয় গিয়ে আবার পুরনো পুজোর ছবি দিয়ে সেগুলোকে বিজেপির পুজো না বলে। আজ যে বিজেপিতে গিয়েছে তৎকাল বিজেপি, কাল তার বিজেপি ছাড়তে সময় লাগবে না। কিন্তু আদি বিজেপি নেতারা যদি নিজেদের পাড়ায় নিজেদের পুজোয় থাকতেন, তা হলে তো হল ভাড়া করে পুজো করতে হয় না। তার মানে এই নেতাদের কোনও পুজো নেই। কোনও পাড়া নেই। এদের দেউলিয়াপনাটা আরও বেশি করে ধরা পড়ে যাচ্ছে।’ উল্লেখ্য, সুকান্ত জানিয়েছিলেন, ‘পুজো করার বিপুল খরচ বহন করার ক্ষমতা নেই দলের। পুজো করতে প্রতি বছর ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এই বিপুল খরচ জোগাড় করা মুশকিল।’