পাঞ্জাবের আস্থা ভোটে বিপুল জয় পেলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। সোমবার আস্থা ভোটের সময়ে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস বিধায়করা। বিজেপি বিধায়করা বিরোধিতা করলেও অনায়াসে জিতে গিয়েছেন মান। ১১৭ জন বিধায়কের মধ্যে ৯৩ জনই মানের সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিধায়কদের টাকার টোপ দিয়ে ভাঙিয়ে হচ্ছে, বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন ভগবন্ত মান।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিজে থেকেই বিধানসভায় আস্থাভোটের প্রস্তাব পেশ করেন মান। সোমবার সেই প্রস্তাবে আলোচনা হওয়ার পরে ভোটাভুটি শুরু হয়। প্রস্তাবের পক্ষে যারা রয়েছেন, তাঁদের হাত তুলে সমর্থন জানাতে বলেন স্পিকার। একইভাবে প্রস্তাবের বিপক্ষেও ভোট দান করা হয়। গণনার পরে দেখা যায়, ৯১ জন আপ বিধায়ক-সহ মোট ৯৩ জনই ভগবন্ত মানের সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছেন। ফলে স্পিকার জানিয়ে দেন, সর্বসম্মতিক্রমে আস্থা ভোটের প্রস্তাব পাস হয়েছে।
তবে ভোটে অংশ না নিয়ে ওয়াকআউট করে যান কংগ্রেস বিধায়করা। অন্যদিকে, আস্থা ভোটের প্রস্তাব পেশ করার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। এহেন কাজের ফলে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। জিরো আওয়ারে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়নি, এই যুক্তি দেখিয়ে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস। আস্থা ভোটের প্রস্তাব পেশের নিন্দা করেছে তারাও।
দিল্লিতে ‘ব্যর্থ’ হওয়ার পরে পাঞ্জাব দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন আম আদমি পার্টির বিধায়ক ও অর্থমন্ত্রী হরপাল চিমা। তাঁর অভিযোগ, আপ বিধায়কদের দলবদলের জন্য মাথাপিছু ২৫ কোটি টাকার ‘অফার’ দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমন দাবিকে অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গে পালটা দাবি করেছে, পাঞ্জাবে আপ নেতৃত্বে ফাটল ধরেছে। সেই জন্যই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে আস্থা ভোটের ডাক দেন মান। সেখানে জয় পেয়ে আপাতত ‘অপারেশন লোটাস’কে পাঞ্জাবে রুখে দিয়েছেন তিনি।