বেশ কিছুদিন ধরেই খনি এলাকার বিভিন্ন এটিএম থেকে টাকা তুলতে না পারার অভিযোগ আসছিল ব্যাঙ্কে। এরপরই তদন্তে নেমে দুর্গাপুরে দুই এটিএম জালিয়াতকে পাকড়াও করল পুলিশ। রবিবার অন্ডাল থানার কাজোরা মোড়ের কাছ থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে এটিএম থেকে টাকা লোপাটের যন্ত্রাংশ। আজ তাদের তোলা হয়েছে আদালতে।
জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ আসার পর থেকেই নজর রাখা হচ্ছিল বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমগুলির ওপর। অবশেষে সাফল্য এল রবিবার দুপুরে। কাজোড়া মোড় সংলগ্ন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টার থেকে হাতেনাতে দুই দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে অন্ডাল থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আয়রন চিপ ডিভাইস, স্ক্র ড্রাইভার, বাইক-সহ অন্যান্য সরঞ্জাম ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা। ধৃতদের নাম বিশাল বাউরী ও সানি কুমার ভার্মা। দু’জনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ড রাজ্যের ধানবাদ জেলার তেঁতুলমারি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এরা প্রায়ই ভোরে ঝাড়খন্ড সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, রানিগঞ্জ, অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর এলাকার বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএমে যেত। তারপর এটিএমের যেখান থেকে টাকা বের হয় সেখানে এই দুষ্কৃতীরা হূকের সাহায্যে লোহার পাতলা পাত ঢুকিয়ে দিত তারা। ওই লোহার পাতে টাকা আটকে যেত। টাকা তুলতে এসে গ্রাহক পিন নম্বর দেওয়ার পর টাকা এটিএম থেকে টাকা বের হচ্ছে না দেখে চলে যেত। তারপরই সেই হুক-সহ পাত বের করে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিত তারা।
রবিবার ধৃত দুই দুষ্কৃতী প্রথমে পাণ্ডবেশ্বরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা হাতিয়ে পরে কাজোড়া মোড়ে অন্য একটি এটিএমে টাকা হাতানোর উদ্দেশ্যে ফাঁদ পেতে বাইরে অপেক্ষা করছিল। ঝাড়খণ্ডের নম্বর লেখা একটি বাইক অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। জেরা করতেই অভিযুক্তরা টাকা হাতানোর বিষয়টি স্বীকার করে। সোমবার ধৃত দুই দুষ্কৃতিকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
