প্রতি বারই শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবের মণ্ডপ থেকে প্রতিমা— দুইয়েই চমক থাকে। সেই টানে কাতারে কাতারে মানুষ এখানে ভিড় করেন। যার ফলে অনেক সময় ভিড়ের চাপে স্তব্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দরগামী ব্যস্ত ভিআইপি রোড। এমনকী প্রবল ভিড়ের কারণে ভিড় গত বছর পুজোর শেষ ক’দিন মণ্ডপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বছর তাই রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও ভিড় এবং যানজট নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁকে রাস্তা বন্ধ না-করার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন। আর তাতেই জল কাজ। চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠীর পর সপ্তমীর সন্ধ্যা বা রাত বলছে ভিআইপি রোডে ভিড় থাকলেও, যানজট নেই। গতি কিছুটা ধীর হলেও, যান চলাচল অব্যাহত। অনেকেই মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বলার পরেই কি শ্রীভূমিকে ঘিরে ‘বিশ্রি জট’ খুলে গেল ভিআইপি রোডে? এ বছর ভিড় নিয়ন্ত্রণে কি সফল হলেন সুজিত? পুলিশও? ভিআইপি রোডের ছবি বলছে ভিড় হোক বা যান নিয়ন্ত্রণ— সপ্তমীর রাত পর্যন্ত অন্তত সফল সুজিত।
প্রসঙ্গত, এ বছর শ্রীভূমির থিম রোমের ‘ভ্যাটিকান সিটি’। কলকাতার বুকে রোমের স্মৃতিসৌধ দেখতে মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে। উদ্বোধনের পর থেকেই ভিড় শুরু হয় এই মণ্ডপে। রাস্তা যাতে অবরুদ্ধ না হয়, তার জন্য লেকটাউন এলাকায় পঞ্চমী থেকে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। মণ্ডপ-দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য অনেক দূর থেকেই পথ নির্দিষ্ট করে দেয় পুলিশ। যান চলাচলের রাস্তায় ভিড় যাতে উপচে না-পড়ে তার জন্য আলাদা রাস্তা করা হয়। ফলে যে কোনও জায়গা দিয়ে দর্শনার্থীরা মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারছেন না। মণ্ডপ সংলগ্ন মূল রাস্তা বরাবর উঁচু টিনের দেওয়াল তুলে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ফলে পুলিশের নির্দিষ্ট করা পথ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকা সচল রাখতে উল্টোডাঙা থেকে বাগুইআটি পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গোলাঘাটা থেকে দক্ষিণ দমদম পর্যন্ত মাঝখানের দু’টি যাত্রী প্রতিক্ষালয়। এই পুরো ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ভিড়ের সঙ্গে যানবাহন চলাচলকে। অর্থাৎ, দর্শনার্থীদের ভিড় এক পাশে, আর অন্য পাশের রাস্তা দিয়ে চলছে যানবাহন।