আমজনতার স্বার্থে অভিনব উদ্যোগ নিলেন চিকিৎসকরা। দুর্গাপুজোর আবহে মেতে উঠেছে বাঙালি। মণ্ডপে মণ্ডপে বাড়ছে ভিড়। আর এসময়
অধিকাংশ প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ। ছুটি কাটাতে গিয়েছেন ভাক্তারদের একাংশ। ভরসা বলতে কেবল সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু তাও তো সবার বাড়ির কাছে নয়। হঠাৎই শরীর খারাপ হলে কী করবেন মানুষ? সেই সমস্যা মেটাতেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলেন একদল চিকিৎসক। তাঁদের এই নয়া উদ্যোগের নাম ‘নিও’। ফোন করলেই বিনামূল্যে মিলবে চিকিৎসা। এপ্রসঙ্গে চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের ডাঃ অয়ন দাসের বক্তব্য, “মাত্র এক ফোন দূরে রয়েছি আমরা। ৮৯১০৭৫০২৬৩ নম্বরে ফোন করলেই মিলবে মুফতে চিকিৎসা। এই টিমে রয়েছেন চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের পেডিয়াট্রিক বিভাগের ডাঃ শ্রেয়া রায়চৌধুরী, ডাঃ শার্লিন মাতিন, ডাঃ সুকন্যা জানা, ডাঃ শ্রেয়া মুখোপাধ্যায়, ডাঃ মধুরিমা ভৌমিক, ডাঃ রাহুল ঘোষ, ডাঃ দিব্য সুমন, ডাঃ অয়ন দাস, কল্যাণী এইমসের ডাঃ অন্বেষা দত্ত।
প্রসঙ্গত, এই নতুন পরিষেবা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ডাঃ অয়ন দাসের জানান, কার্যত চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। এখনও নির্মূল হয়নি করোনা। তার মধ্যেই উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা সবাই। তাঁর মতে, উদযাপন চলুক। তবে পাশাপাশি নজর থাকুক স্বাস্থ্যেও। “পুজোর পাঁচদিন আমাদের ওই নম্বরে ফোন করলে এমার্জেন্সি চিকিৎসা মিলবে”, এমনই জানিয়েছেন অয়ন। পাশাপাশি চিকিৎসকরা বলছেন, অসুস্থ হওয়ার প্রথম ৯০ মিনিট হল গোল্ডেন আওয়ার বা মোস্ট অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টাইম। কারণ এই সময় শুধু হার্ট অ্যাটাক নয়, যে কোনও রোগের চিকিৎসা করালেই উপকার পাওয়া যাবে। এতদিন অবধি অনেকেরই ধারণা ছিল যে, দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রেই এই গোল্ডেন আওয়ার-এর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখন চিকিৎসকরা বলছেন, স্ট্রোকের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও গোল্ডেন আওয়ার রয়েছে। তা হল প্রথম সাড়ে চার ঘণ্টা। যে কোনও রোগীকেই সময় মতো আসতে হবে ডাক্তারের কাছে। আচমকা অসুস্থ হলে যাতে সত্ত্বর চিকিৎসা শুরু করা যায়, সে কথা ভেবেই পুজোয় এই পদক্ষেপ নিয়েছেন চিত্তরঞ্জন সেবাসদন, কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকরা। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।