কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের পছন্দের প্রার্থী ৮০ বছরের মল্লিকার্জুন খাড়গে। প্রবীণ এই সাংসদ রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা৷ খাড়গে দলের সভাপতি হলে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে কি নতুন মুখ কংগ্রেসের? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে এআইসিসি মহলে৷
এ বছরের এপ্রিল মাসে রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি গ্রহণ করা হয়। সেই নীতি অনুসারে দলের সভাপতি নির্বাচিত হলে খাড়্গেকে ছাড়তে হবে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতার পদ৷ তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে দলেই৷ লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদে এখন রয়েছেন অধীর চৌধুরী৷ অধীর একইসঙ্গে এ রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতিও৷
কিন্তু এই দৃষ্টান্ত এক্ষেত্রে তুলে ধরতে সম্ভবত চাইবে না কংগ্রেসের শীর্ষমহল৷ কারন, নির্বাচিত হলে মল্লিকার্জুন খাড়্গে হবেন শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেসের সভাপতি৷ সর্বভারতীয় সভাপতিকে রাজ্যসভায় দলীয় নেতার পদে রাখা উচিত হবে না বলেই দলীয় নেতাদের একাংশের অভিমত৷
‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনেই সম্ভবত রাজ্যসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা হতে চলেছেন অন্য কেউ৷ কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনকয়েক আগে অশোক গেহলটকে কংগ্রেসের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি’ স্মরণ করিয়ে দেন রাহুল গান্ধী৷ এই নীতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেও সম্ভবত মেনে চলতে হবে৷ বর্তমানে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতার দায়িত্বে খাড়্গে। খাড়্গে সভাপতি নির্বাচিত হলে কংগ্রেসকে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে অন্য মুখ বেছে নিতে হতে পারে। তবে বিষয়টি এখনই নিশ্চিত নয়৷ আগামী ১৯ অক্টোবর সভাপতি নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে৷ তারপরই চর্চায় আসবে বিরোধী দলনেতার পদে খাড়্গের উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার পর্ব৷