সাহায্যের নাম করে এক কিশোরীকে ডেরায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের মউ জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল মধুবনীর জয়নগর থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পাশাপাশি তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তবে গণধর্ষণে জড়িত পুলিশের গাড়ির চালক ও চৌকিদার গা ঢাকা দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগেই মউয়ের বাড়ি থেকে পালিয়ে মধুবনীর জয়নগরে উপস্থিত হয়েছিল ওই কিশোরী। অশোক মার্কেটের কাছাকাছি ঘুরতে থাকে। মার্কেটের নৈশরক্ষী অরুণ কাছে সাহায্য চায়। সুযোগ বুঝে ওই নৈশরক্ষী কিশোরীকে একটি গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে তোলে। সেখানে সজন কুমার রামজীবন পাসোয়ান ও আচার্যকে ডেকে নেয়। চার জন মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। তার পরে একটি কক্ষে তালাবন্ধ করে। তার পর থেকে কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ করে চার অভিযুক্ত। কিছুদিন বাদে সোনি দেবী নামে এক মহিলার কাছে কিশোরীকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরেই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে মউ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মধুবনীর জয়নগরে সোনি দেবীর ডেরায় রয়েছে কিশোরী। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ডেরায় হানা দিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি গণধর্ষণে অভিযুক্ত তিন নরপিশাচকেও গ্রেফতার করে।