রাজস্থান কংগ্রেসে গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য অশোক গেহলটকেই দায়ী করছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। রবিবারের ডামাডোলের পর কংগ্রেস সদর দফতরের চারিদিকে রাতারাতি বিরক্তির পাত্র হয়ে উঠেছেব রাজস্থান মুখ্যমন্ত্রী। তাই বুধবারই তিনি তড়িঘড়ি দিল্লী ছুটে আসেন দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য, তাঁর মান ভাঙানোর জন্য। সূত্রের খবর, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে দলের শৃঙ্খলা নিয়েই কথা বলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে রাজস্থানে কখনও দলের অন্দরে শৃঙ্খলার অভাব হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন। সম্প্রতি যা ঘটেছে, তাকেও তিনি গুরুত্ব না দিয়ে বলেছেন, ‘এইরকম ঘটনা তো হতেই থাকে।’
প্রসঙ্গত, গেহলট যদি কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন এবং তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হয়, তবে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়েই দলের অন্দরে বিরোধ শুরু হয়েছিল। গেহলটের অবর্তমানে তাঁর গদিতে বসতে পারেন সচিন পাইলট, এই জল্পনা সামনে আসতেই দলের অন্দরে বিদ্রোহ শুরু হয়। গেহলট ঘনিষ্ঠ তিন বিধায়কের নেতৃত্বেই ৯২ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দেন। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে অজয় মাকেন ও মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পর্যবেক্ষক হিসাবে পাঠানো হলেও, তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হননি বিধায়করা।
ইতিমধ্যেই দুই পর্যবেক্ষক দলনেত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। দলে বিদ্রোহের জন্য তাঁরা অশোক গেহলটকে দায়ী না করলেও, তাঁর ঘনিষ্ঠ তিন বিধায়কের নাম উল্লেখ করেছেন। ওই তিন বিধায়ককে শো-কজ নোটিসও পাঠানো হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। দলের অন্দরে এই বিদ্রোহ নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ হতেই তড়িঘড়ি দিল্লী ছুটে আসেন গেহলট। সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কংগ্রেসে বরাবরই শৃঙ্খলা রয়েছে। এটাই দলের ঐতিহ্য। আমি বিগত ৫০ বছর ধরে দেখে আসছি। ইন্দিরা গান্ধীর সময় থেকে শুরু করে, তারপর রাজীব গান্ধী, নরসিমহা রাও, আর এখন সোনিয়া গান্ধী। এঁদের নেতৃত্বে দলে বরাবরই শৃঙ্খলা ছিল।’