একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে মুষল পর্ব চলছে! একের পর এক পুরভোট, উপনির্বাচনে হারের পর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বড় চেহারা নিয়েছে। ফলস্বরূপ বিধানসভা নির্বাচনের পর দেড় বছর দল কার্যত হাত-পা গুটিয়ে বসেছিল রাজ্য বিজেপি। বিরোধী দলের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে তারা। আর সেই সুযোগের সদ্বব্যবহার করে জনসমর্থন বৃদ্ধি করেছে শাসকদল তৃণমূল। কিছুটা হলেও বামেপন্থীরা বিরোধী পরিসরের শূন্যস্থান পূরণ করছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্যের পর্যবেক্ষকদের বৈঠকে বঙ্গ বিজেপি সম্পর্কে এমনই নেতিবাচক রিপোর্ট দিলেন বাংলার পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। বাংলার নেতৃত্ব নিজেদের চেয়ার ধরে রাখতে গিয়ে একের পর এক সরকার বিরোধী ইস্যু হাতছাড়া করেছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরদারিতে খামতি ছিল বলেও তিনি রিপোর্ট পেশ করেছেন বলে সূত্রের খবর। বাংলার মানুষের মন পেতে গেলে আন্দোলনের বিকল্প পথ নেই বলে তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এমনটাই খবর সূত্র মারফত।
প্রসঙ্গত, বুধবার দিল্লীতে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্য পর্যবেক্ষকদের বৈঠক ছিল। বৈঠকে ডাকা হয় সব রাজ্যের পর্যবেক্ষকদের। বৈঠকে বঙ্গে সংগঠনের হাল সম্পর্কে বলতে গিয়ে পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল শীর্ষনেতৃত্বকে হতাশ করেন বলেই সূত্রের খবর। তাঁর দাবি, বাংলার সংগঠনের অভিজ্ঞতা খুব সুখকর নয়। বাস্তবের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের কথায় ও কাজে ফারাক রয়েছে বলে বৈঠকে জানান তিনি। সূত্রের খবর, সাধারণ সম্পাদকদের স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলার ইতিহাস স্মরণ করিয়ে নয়া পর্যবেক্ষক জানান, বাংলায় আন্দোলন না করে ক্ষমতায় এসেছে এমন ইতিহাস নেই। সাতের দশকে বামেদের কংগ্রেস বিরোধী আন্দোলন ও পরবর্তীতে বামেদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু বিধানসভায় পরাজয়ের অন্যতম কারণ, সেই ইতিহাস বাংলায় বিজেপির নেই। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার ও সর্বভারতীয় সংগঠনের ওপর ভরসা করেই ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা।
