ভূস্বর্গে সন্ত্রাস দমনে ফের এল তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য। গত সোমবারের পর মঙ্গলবার, অর্থাৎ পরপর দু’দিন জইশ জঙ্গিদের খতম করল করল সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। কুলগামের বাটপোরা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তিন জইশ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবারই পুলিশের গুলিতে নিকেশ হয়েছিল পাকিস্তানি নাগরিক জইশ জঙ্গি। জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি নাশকতার অভিযোগ রয়েছে। এদিন কাশ্মীরের কুলগাম এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে তল্লাশি চালায় সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়ে জঙ্গিদের ডেরা ঘিরে তল্লাশি শুরু হয়। বুঝতে পেরেই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে লাগাতার গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে দুই জইশ জঙ্গির। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিহত দুই জঙ্গির নাম মহম্মদ শফি গনি ও মহম্মদ আসিফ ওয়ানি। তারা দু’জনেই বাটপোরার বাসিন্দা। নিহত দুই জঙ্গির কাছ থেকে এক-৪৭ রাইফেল-সহ প্রচুর কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছ। উপত্যকায় নাশকতার পরিকল্পনা করে পিস্তল ও বোমা মজুত করেছিল জঙ্গিরা। উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলিও।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারও এক পাকিস্তানি জইশ জঙ্গি নিকেশ হয় কাশ্মীরে। রাতে কুলগাম জেলার বাটপোরা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টার শুরু হয়। সেখানেই খতম করা হয় আবু হুরাইরা নামে ওই জঙ্গিকে। তার কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। গোলাগুলির মধ্যে পড়ে আহত হন এক সেনা জওয়ান ও দু’জন সাধারণ মানুষ। তবে তাদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, হুরাইরার মাধ্যমেই কাশ্মীরের তরুণ প্রজন্মকে জইশ-ই-মহম্মদে যোগ দেওয়ার জন্য উসকানি দেওয়া হত। তাদে দ্বারাই প্রভাবিত হয়েছিল বুধবারে নিহত দুই জঙ্গি। আরও বেশ কয়েকজন তরুণকেও জঙ্গি দলে টানা হয়েছে বলে অনুমান সেনার। তাদের সন্ধানেও যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।