এ বলে, “আমায় দ্যাখ!” আর ও বলে, “আমায়!” এক কথায় ‘এক সে বড়কর এক’। দুর্গাপুজোর থিমের রমরমা চলছে বিগত কয়েক দশক ধরেই। এক পুজোকে টক্কর দিতে লড়াইয়ে নেমে পড়েছে আর এক পুজো। আসা যাক সিংহি পার্কের পুজোর কথায়। সেখানে গেলে মিলবে শৈশব ও কৈশোরের টাটকা বাতাস। বাঁটুল দ্য গ্রেট, হাঁদা ভোঁদা, নন্টে ফন্টেদের নিয়ে সেজে উঠেছে তাদের পুজোমণ্ডপ। বিখ্যাত কার্টুন শিল্পী নারায়ণ দেবনাথকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সিংহি পার্ক পুজো কমিটি। দক্ষিণ কলকাতার নামী পুজোগুলির অন্যতম হল সিংহি পার্ক। এই পুজো দেখতে প্রত্যেকবারই মণ্ডপে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। এবার আলোকসজ্জাতেও বিশেষ চমক রাখছে পুজো কমিটি। দক্ষিণ কলকাতার আর একটি বিখ্যাত বারোয়ারি পুজো হল বাদামতলা আষাঢ় সংঘ। এবার ৮৪তম বছরে বাদামতলা বারোয়ারির থিম পদাঙ্ক। এই থিমের মাধ্যমে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রাকে তুলে ধরতে চাইছেন পুজো আয়োজকরা। পরিবেশ বান্ধব জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পুজোমণ্ডপ। প্রতিমাতেও রয়েছে অভিনবত্ব।
পাশাপাশি, ত্রিধারা সম্মিলনীর এ বছরের থিম দৌড়। পৃথিবীতে কোনও কিছুই স্থির নয়। সবকিছু চলমান। জন্মের পর থেকেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্যে আমাদের দৌড় চলে। শিল্পী গৌরাঙ্গ কৈলার সেই ভাবনাই তুলে ধরেছেন মণ্ডপে। থিম, মণ্ডপ ও আলোক সজ্জার পাশাপাশি আরও একটি চমক হল আবহ সঙ্গীত। গায়ক অনীক ধর ত্রিধারা সম্মিলনীর জন্য আবহ সঙ্গীত গেয়েছেন। পুজো মণ্ডপে সারাক্ষণ বাজবে সেই গান। কলকাতার সেরা দশটি পুজোর মধ্যে অন্যতম হল একডালিয়ার এভারগ্রিন ক্লাবের দুর্গা পুজো। থিমের লড়াইয়ে নয়, এখানে সাবেকি রূপেই দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়। এই পুজোর অন্যতম চমক দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। প্রত্যেকবারই কোনও না কোনও ঐতিহাসিক স্থাপত্য বিশেষ করে কোনও মন্দিরের আদলে এই পুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়। গতবারের চেন্নাইয়ের লক্ষ্মীর মন্দির ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল মণ্ডপসজ্জায়। এবারও থাকছে নতুন চমক।