ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই টেট পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে পুজোর আগে বা পুজোর ঠিক পরেই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন বিকেলেই এসএসসি ও প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত বড় ঘোষণারও সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
পুজোর আগে নিয়োগের দাবিতে এদিন বিকাশ ভবনে যান আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। নবম থেকে দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকাভুক্তদের একই নোটিফিকেশনে চাকরির দাবি নিয়ে বিকাশ ভবনে যান চার সদস্যর প্রতিনিধি দল। এদিন সেই বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘নিয়োগ তো পর্ষদ এবং এসএসসি করে। তারা নিয়মিত বৈঠক করছে। কোর্টের সঙ্গে ডায়লগ ওপেন চলছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় জট ছাড়ানোর মুখে। এই সময় তো কেউ মিছিল করে না। আমি আবার তাঁদের বলব মিছিল না করে বা অবস্থানে না থেকে সরকারের উপর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখুন। যদি কেউ জট খুলতে পারেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারবেন। তাঁর নির্দেশে আমাদের ক্রমাগত মিটিং চলছে। আমার মনে হয় সরকারের উপর ভরসা রাখা উচিৎ’।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে বসেন গৌতম পাল। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি জানিয়েছিলেন, এবার থেকে প্রত্যেক বছর টেট হবে। শোনা যাচ্ছে সেই টেট ডিসেম্বরেই করতে চলেছে রাজ্য় সরকার। এর আগে টেট সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট টেট গ্রহণের সময়সীমা নিয়ে জানিয়েছিল। সেই নির্দেশকে সামনে রেখেই আগামী টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।