প্রবল বিপাকে পড়ল পদ্মশিবির। উঠে এল চাঞ্চল্যকর দাবি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শোরগোল। বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগতকে খুন করেছেন তাঁর রাজ্যেরই আর এক বিজেপি নেতা, এমনই অভিযোগ তুলল সোনালির পরিবার। উল্লেখ্য, হরিয়ানার ওই বিজেপি নেতার নাম কুলদীপ বিষ্ণোই। তিনি হরিয়ানার আদমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের চার বারের জয়ী বিধায়লক। তবে সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সোনালির ভাই রিঙ্কু ঢাকা জানিয়েছেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দিন কয়েক পরেই সোনালির খামারবাড়িতে গিয়েছিলেন কুলদীপ। তার কিছু দিন পরেই গোয়ার হোটেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় পদ্ম-নেত্রীকে।
এ বিষয়ে সোনালির ভাইয়ের দাবি, সোনালির মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর গোয়ার হাসপাতালে এক পরিচিতকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেন সোনালির আপ্ত সহায়ক সুধীর সাঙ্গোয়ান। সোনালির পরিবারের ওই পরিচিতকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তাঁকে কি কুলদীপ পাঠিয়েছেন? ঘটনাটির কথা জানিয়ে, একটি খাপ পঞ্চায়েত বিচারসভায় সোনালির ভাই রিঙ্কু দাবি করেছেন, এর নেপথ্যে নিশ্চিত ভাবে কুলদীপের কোনও যোগ রয়েছে। তা না হলে, হঠাৎ কুলদীপের নামই বা বলবেন কেন সুধীর? উঠছে নানান প্রশ্ন। সোনালি খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই এই সুধীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখন পরিস্থিতি কোন অভিমুখে এগোয়, সেটাই দেখার। স্বাভাবিকভাবেই চাপের মুখে গেরুয়া-নেতৃত্ব।