পুজোর আগেই রাজ্যের ধান চাষীদের বড় সুখবর শোনাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার বাংলায় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনবে রাজ্য। এবং ধান বিক্রির সহায়ক মূল্য এক লাফে ১০০ টাকা বাড়িয়েছে তারা। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় যেহেতু রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি ধান উৎপাদন হয় তাই সেখান থেকেই সব থেকে বেশি পরিমাণে ধান কেনা হবে। প্রায় ৬ লক্ষ ৯০০ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে ওই জেলা থেকে।
জানা গিয়েছে, ধান ওঠার পরই এবার জেলায় জেলায় এই ধান কেনার শিবির বসে যাবে। ঠিক এই রকম অবস্থায় রাজ্য সরকার ধান বিক্রির সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ১০০ টাকা বাড়াল। এখন ধান বিক্রির ক্ষেত্রে কুইন্ট্যাল প্রতি সহায়ক মূল্য ১৯৪০ টাকা। সেটাই এবার ১০০ টাকা বেড়ে হচ্ছে ২০৪০ টাকা। অর্থাৎ যখন ধান কেনার শিবির শুরু হবে তখন কুইন্ট্যাল প্রতি ২০৪০ টাকাই পাবেন কৃষকেরা।
রাজ্যের কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারে প্রতিটি জেলায় দফতরের নিজস্ব ক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ডব্লুবিইসিএসসি, বেনফেড, কনফেড, নাফেডের মতো সংস্থাগুলিও প্রতিটি জেলায় ক্যাম্প করবে। প্রত্যেক জেলাকেই ধান কেনার টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও ধান কেনা হবে দুই মেদিনীপুর, হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকেও।
বাঁকুড়া জেলা থেকে কেনা হবে ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধান। হুগলি জেলা থেকে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন, বীরভূম থেকে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন, মুর্শিদাবাদ থেকে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন, পুরুলিয়া থেকে ২ লক্ষ ৪ হাজার ২০০ মেট্রিক টন এবং উত্তর দিনাজপুর থেকে ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে।
রাজ্যের ক্রয় কেন্দ্রগুলি থেকে ৩৪ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। ডব্লুবিইসিএসসি ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন চাষিদের কাছে থেকে কিনবে। বেনফেড ৪ লক্ষ ৫০ হাজার, কনফেড ৫০ হাজার মেট্রিকটন ধান কিনবে। সব মিলিয়ে এবছর রাজ্যে সরকার এইবছর ৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনবে কৃষকদের কাছ থেকে।