বাঙালির আবহমান উৎসব দুর্গাপুজো। সম্প্রতি এই পার্বণ সম্মানিত হয়েছে বিশ্বমঞ্চে। কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইনটানজেবল হেরিটেজের শিরোপা দিয়েছে ইউনেস্কো। কলকাতার দুর্গাপুজোর তকমা জয় কৃতিত্ব কাড়তে কার্যত উঠেপড়ে লেগেছে মোদী সরকার। আগামীকাল, ২৪শে সেপ্টেম্বর শনিবার কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে এক অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছে মোদী সরকারের সংস্কৃতিক দফতর। ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে থাকবেন, মোদী সরকারের সংস্কৃতি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষি লেখি এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। রাজ্য কাউকেই সেখানে রাখা হয়নি। জানা গিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে কুমোরটুলির কিছু প্রতিমা শিল্পী, কারিগরকে পুরস্কার দেবে মোদী সরকার। তবে দুর্গাপুজোর স্বীকৃতি প্রাপ্তির উদযাপন নয়, এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কৌশল। এমনই মনে করছেন অনেকে। মোদী সরকারই নাকি দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরেছে, স্বীকৃতির জন্যে প্রাণপণে চেষ্টা করে গিয়েছে, এমন দাবিই প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে পদ্মশিবির।
প্রসঙ্গত, সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষি লেখি দাবি করে বসেছেন, ইউনেস্কোর সম্মান প্রাপ্তির জন্যে নাকি গোটা দেশবাসীর নরেন্দ্র মোদীর জয়গান করা উচিত। মোদীর অবদান ও উদ্যোগ ছাড়া নাকি এটি সম্ভব হত না। তিনি আরও দাবি করেন, ২০১৯ সাল থেকে নাকি মোদী সরকার চেষ্টা করছে। দু-বার প্রস্তাব ফেরত আসার পর সিলমোহর পড়েছে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে মীনাক্ষি অভিযোগ করেন, “যারা রাজ্যে দুর্গাপুজোর বিসর্জন আটকায়, পুজো হতে দেয় না, তারা কোন মুখে কৃতিত্ব নেয়? কী করে দাবি করে যে, ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা কলকাতার উদ্যোগ!” তার কথায়, কৃতিত্ব কেন্দ্রেরই। অর্থাৎ, দুর্গাপুজোর স্বীকৃতি মিলতেই তা কেড়ে নিতে বদ্ধপরিকর মোদী সরকার, তা বলাই বাহুল্য। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।