বুধবার বিধানসভা অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উত্তর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে ধেয়ে এল এমনই এক প্রশ্ন যা শুনে হাসি লুকাতে পারলেন না মন্ত্রী। বিধানসভায় শাসক দলের উপ মুখ্যসচেতক হলেন প্রবীণ নেতা তাপস রায়। এদিন অধিবেশন শুরু হতেই বরাহনগরের বিধায়ক বনমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, বনমন্ত্রীর কাছে আমার একটা প্রশ্ন রয়েছে। তা হল, আপনার জন্মদিনে কি বাংলার কোনও জঙ্গলে চিতা ছাড়া হবে? তাপস রায় এই প্রশ্ন করতেই জ্যোতিপ্রিয় হো হো করে হেসে ওঠেন। দেখা যায়, বাকি সদস্যরাও হাসছেন। কেউ কেউ হাসতে হাসতে প্রায় সতীর্থর গায়ে ঢলে পড়ছেন। বিরোধী দলের কেউ কেউও মুখ চাপা দিয়ে হাসছেন!
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর জন্মদিনে মধ্যপ্রদেশের কুনো অভয়ারণ্যে ৮ টি চিতা ছেড়েছেন। ভারতে চিতা লুপ্তপ্রায়। তাই নামিবিয়া থেকে ওই চিতাগুলিকে আনা হয়েছে ভারতে। তার পর দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নিজে গিয়ে কুনো জঙ্গলে সেই চিতাগুলো ছেড়েছেন, তাদের ছবি তুলেছেন। তার পর সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে হু হু করে। তা দেখে পরক্ষণেই আবার টিপ্পনি কেটেছেন কেউ কেউ। আর মনমোহন সিং সরকার জমানার পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ পুরনো কাগজপত্র বের করে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী হলেন সবচেয়ে বড় মিথ্যুক।
জয়রামের কথায়, মোদী সরকার এমন ভাব দেখাচ্ছে যে চিতাগুলো আনার বন্দোবস্ত তারা করেছে। আদলে ২০১০ সালে পরিবেশ মন্ত্রী থাকার সময়ে এ ব্যাপারে নামিবিয়াকে আমি চিঠি লিখেছিলাম। ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে ৮টি চিতা দিতে রাজি হয়েছিল নামিবিয়া। সে ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছিল। পরবর্তী কালে সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে স্থগিতাদেশ দেয়। সেই স্থগিতাদেশ সর্বোচ্চ আদালত প্রত্যাহার করার পর এখন চিতাগুলো আনা হল। মোদী সরকার কিনা তার ক্রেডিট নিচ্ছে! এবার তাপস রায়ও তা নিয়েই রসিকতা করলেন। তিনি যেন ঘুরিয়ে খোঁচা দিলেন মোদীকেই।