সামনেই পঞ্চায়েত ভোটযুদ্ধ। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গিয়েছে তোড়জোড়। পাহাড়েও জোরকদমে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। প্রশাসনিক মহলে দেখা যাচ্ছে তৎপরতা। পাহাড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে ভোটারের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, কতজন ভোটারের জন্যে একজন জনপ্রতিনিধি থাকবে, বিধানসভায় সেই সংক্রান্ত বিল আসতে চলেছে। পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হয়েছে, কিছু দিন আগেই দার্জিলিং পুরসভার ভোট হয়েছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের পালা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক কাজকর্ম।
পাশাপাশি, বিধানসভায় ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত ইলেকশন সংশোধনী বিল ২০২২ আনা হচ্ছে। বিলে কেবল পার্বত্য এলাকার ক্ষেত্রেই জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত এলাকায় কতজন ভোটদাতার জন্য একজন জনপ্রতিনিধি থাকবেন, সেই বিষয়েই এই বিল। পাহাড়ি এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে ৭০০ জন ভোটার প্রতি একজন করে জনপ্রতিনিধি থাকবেন। পাহাড়ি এলাকা বাদে সেই অঞ্চলের সমতলের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির ক্ষেত্রে ৯০০ জন ভোটার পিছু একজন করে জনপ্রতিনিধি থাকবেন। সংশোধনী বিল অনুযায়ী, পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে বা পার্বত্য এলাকায় প্রতি ৩০০০ জন ভোটদাতা পিছু একজন করে জনপ্রতিনিধি থাকবেন। পঞ্চায়েত সংক্রান্ত সংশোধনী বিলে দার্জিলিং ছাড়াও কালিম্পং জেলাকে অর্ন্তভুক্ত করা তার বলে জানা গিয়েছে। বিধানসভার চলতি অধিবেশনে ২২শে সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেই অনুমান রাজনীতির কারবারিদের।