এখনও সূচনা হয়নি দেবীপক্ষের। মহালয়ার বাকি এখনও দিন পাঁচেক। তারপর গত ১ অক্টোবর ষষ্ঠী। কিন্তু তাতে কী? ইতিমধ্যেই বীরভূমের ২ বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো। নবমী থেকে এক পক্ষ কাল আগেই শুরু হয়ে যায় আরাধনা। বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ও বালিজুড়ি এলাকার রায় পরিবার এবং চট্টোপাধ্যায়- বন্দ্যোপাধ্যায়-মুখোপাধ্যায়দের শরিকি পুজোর এমনই রীতি।
মহানবমীর একপক্ষকাল আগে পড়ে কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি। এই দিনেই মঙ্গলঘট আনা হয়। দুই পরিবার ঘট নিয়ে আসে যমুনা সায়র থেকে। স্নান করানো হয় নবপত্রিকাকে। করা হয় বোধন। রায় পরিবারের পুজো প্রায় সাড়ে চারশো বছরের প্রাচীন। চট্টোপাধ্যায়- বন্দ্যোপাধ্যায়-মুখোপাধ্যায়দের শরিকি পুজো প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন। এবারে, এই দুই বাড়ির পুজো শুরু হয়েছে গতকাল থেকেই। আনা হয়েছে মঙ্গলঘট। হয়েছে কলা বৌ স্নান ও বোধন। তারপর থেকেই চলছে দেবীর উপাসনা।
বালিজুড়ি এলাকার প্রাচীন এই পুজো করেন রায় পরিবারের সদস্যরা। শোনা যায়, জনৈক এক কাপালিক এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। সেই রীতি অনুসরণ করেই বংশ পরম্পরায় দেবীর আরাধনা করেন রায় পরিবারের সদস্যরা। আর ১১১১ বঙ্গাব্দে দুবরাজপুরের প্রাচীন পুজোর প্রচলন করেছিলেন রাজনগরের নবাব আলনকি খানের দেওয়ান কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়। তখন বীরভূমের রাজধানী ছিল রাজনগর। এখন সেই পুজোর শরিক চট্টোপাধ্যায়, মুখোপাধ্যায় ও বন্দ্যোপাধ্যায়— এই ৩ পরিবার।