বিজেপির নবান্ন অভিযানের পর থেকেই রাজ্যে নতুন মাত্রা পেয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। আর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করে তাতেই ঘৃতাহুতি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে এবার সরব হল শাসক দল। সোমবার তৃণমূলের তরফে শুভেন্দুর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, অভিষেককে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরেই এই ধরনের মন্তব্য করছেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক কর্মিসভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও কুণাল ঘোষ। শশী এদিন শুভেন্দুকে ব্যর্থ, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিক বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর নন্দীগ্রামের জয় স্বাভাবিক নয় বলেই অভিযোগ মন্ত্রীর। অভিষেককে ‘সন্তানের মতো’ বলে উল্লেখ করে শশী পাঁজা বলেন, মানসিকতা এত বিকৃত হতে পারে! বাংলার মানুষ এটাকে সমর্থন করে না।
অন্যদিকে কুণালের দাবি, শুভেন্দু যে অভিষেককে যে ভয় পাচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন কী ভাবে বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিষেককেও আক্রমণ করছে বিজেপি। তাঁর দাবি, বয়সে এত ছোট হওয়া সত্ত্বেও অভিষেককে দেখে ‘পা কাঁপছে’ শুভেন্দুর। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অভিষেকের একটাই দোষ, ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো।’ তাঁর প্রশ্ন, মমতার আত্মীয় হওয়া দোষের? শুভেন্দু নিজেও রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, তা সত্ত্বেও কেন অভিষেককে আক্রমণ করা হচ্ছে?