একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে মুষল পর্ব চলছে! একের পর এক পুরভোট, উপনির্বাচনে হারের পর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বড় চেহারা নিয়েছে। এবার দুর্গাপুজো ঘিরে আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত দল। বঙ্গ বিজেপির উদ্যোগে ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়েছে দুর্গাপুজো। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন। এ বছর দলের একাংশের মত ছিল, সল্টলেকে ইজেডসিসিতে নমো নমো করে পুজো হোক, জাঁকজমক দরকার নেই। পার্টির উদ্যোগে কোনও পুজোর বিপক্ষে বরাবরই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু রবিবার আইসিসিআরে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের বৈঠকে দলের আরেক পক্ষ প্রস্তাব দিয়েছে, এবারও বড় করে পুজো হোক কেন্দ্রীয় নেতারা আসুক। বিশেষত বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর এ বিষয়ে একেবারেই উদাসীনতা পছন্দ নয় তাদের।
দলের ওই গোষ্ঠীর দাবি, অমিত শাহ কিংবা জে পি নাড্ডা এসে সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে বিজেপির আয়োজিত দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করুন। সশরীরে না আসতে পারলে অন্তত ভারচুয়ালি তা করুন। এদিন বৈঠকে এই প্রসঙ্গে দুই শিবিরের মতান্তর নিতান্তই ‘ছেলেমানুষি’ বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্গাপুজো ঘিরে দলের অন্দরে দু’পক্ষের এই মতবিরোধ থেকেই স্পষ্ট, রাজ্য নেতাদের কারও কোনও জনসংযোগই নেই। এলাকায় ক্লাব বা পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগই কারও নেই। শাসকদলের নেতারা সারা বছর এলাকার মানুষ বা ক্লাব সংগঠনের পাশে থাকে। সমস্ত পুজোর সঙ্গেই শাসকদলের নেতারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু বিজেপি নেতাদের জনসংযোগ না থাকায় কোনও পুজোতে তাঁদের সেভাবে আমন্ত্রণও জানানো হয় না। কারও নিজস্ব কোনও পুজো নেই। ফলে একটা ঘেরাটোপে দলের উদ্যোগে পুজো হলে সেখানেই থাকতে চান বিজেপি নেতারা।