সে দিন তাঁর কথা শুনে করোনা-যোদ্ধাদের হয়ে ঘণ্টা-নিদেনপক্ষে থালাবাসন বাজিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। লক্ষ্য ছিল করোনা-যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ানো। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। সেই কৌশল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই সজাগ করার চেষ্টা করল উত্তরাখণ্ডের প্রতিবাদীরা। যে ইডি-সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে, তাদেরও রাজ্যে তদন্তে পাঠানোর দাবি তুলল তারা।
বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড তোলপাড় সরকারি চাকরির প্রশ্ন ফাঁস দুর্নীতিতে। প্রশ্ন ফাঁস করে দুষ্কৃতীরা প্রায় ২০০ কোটি টাকা বেআইনি ভাবে রোজগার করেছে বলে অনুমান তদন্তকারী সংস্থার। অভিযুক্ত ‘উত্তরাখণ্ড সাবঅর্ডিনেট সার্ভিসেস সিলেকশন কমিশন (ইউকেএসএসএসসি) এখন কাঠগড়ায়। এই দুর্নীতিকে ব্যাপকতায় ২০১৩ সালের মধ্যপ্রদেশের প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারি ‘ব্যাপম’-এর সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারিতে ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে চাকরি প্রার্থীরা।
প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে একাধিক কৌশল নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম থালা বাজানো। থালা বাজিয়ে উত্তরখণ্ডের চাকরি দুর্নীতির বিষয়টি প্রচার করার চেষ্টা দেখা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ১৫-২০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের মাথা হিসেবে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তারা হল উত্তর প্রদেশের প্রতারণা চক্রের পাণ্ডা কেন্দ্রাপাল, চন্দন মনরাল, মনোজ যোশী, জগদীশ গোস্বামী এবং উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা হকরাম সিং। বেআইনি রোজগারের অর্থে এদের প্রত্যেকেই ৫০ কোটি বা তার বেশি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।