মোদী জমানায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশের নারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা। এবার প্রকাশ্যে এল আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। আজ, ১৬ই সেপ্টেম্বর অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া ‘ইন্ডিয়া ডিসক্রিমিনেশন রিপোর্ট ২০২২’ শীর্ষ এক সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টে জানা গিয়েছে, দেশের কর্মক্ষেত্রগুলিতে পুরুষ ও মহিলাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে তফাত দেখা যায়, তার জন্যে ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই লিঙ্গবৈষম্য দায়ী। গ্রামীণ ক্ষেত্রে পুরুষ-মহিলাদের এই ফারাকের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১০০ শতাংশে। সমীক্ষার পরিসংখ্যান বলছে, এই ফারাকের কারণেই আয়ের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে মহিলারা। লিঙ্গবৈষম্য কারণেই পুরুষদের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে ৯৩ শতাংশ মহিলা।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৪-০৫ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ অবধি কর্মসংস্থান এবং শ্রম সংক্রান্ত সরকারি তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ‘ইন্ডিয়া ডিসক্রিমিনেশন রিপোর্ট ২০২২’ রিপোর্টটি প্রস্তুত করেছে অক্সফ্যাম। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমশিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও ভারতে সামাজিক ও নিয়োগকর্তাদের মানসিকতার কারণে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন মহিলারা। সমীক্ষা অনুযায়ী, এ দেশে স্বনির্ভর মহিলাদের তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি আয় করেন স্বনির্ভর পুরুষরা। ৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যই দায়ী, এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে রিপোর্টে। শিক্ষার বা কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে নয়, লিঙ্গবৈষম্যর কারণেই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলারা পিছিয়ে, জানিয়েছেন অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার সিইও অমিতাভ বেহা। স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য জনসমক্ষে আসায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।