ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে দেশের ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারগুলির দুর্নীতির খতিয়ান। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে অব্যাহত দুর্নীতির অভিযোগ। কয়েকদিন আগেই কর্ণাটক হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, বিজেপির পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্য, কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তদন্তে আর কোনও বাধা নেই। তাঁর বিরুদ্ধে রামলিঙ্গম কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামক এক নির্মাণ সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার আরও বিপাকে ইয়েদুরাপ্পা। অতিরিক্ত নগর ও দায়রা আদালতের বিচারক বুধবার দুর্নীতির এক ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে ইয়েদুরাপ্পা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৭ সেপ্টেম্বর কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিশেষ আদালতে ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের শুনানি হবে। ৮ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতে ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ হয়ে যায় কারণ অভিযোগকারী টি জে আব্রাহামের অভিযোগকে অনুমোদন দেননি সেরাজ্যের রাজ্যপাল। বুধবার আদালতের এই নির্দেশ কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি বাড়াল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও হাইকোর্ট জানিয়েছে, অভিযোগকারী রাজ্যপালের থেকে অনুমোদন নেওয়া উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নন। ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ব্যাঙ্গালোর ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির ঠিকা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।
ইয়েদুরাপ্পা ছাড়াও তাঁর ছেলে তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন্দ্র, তাঁর নাতি শশীধর মারাদি, জামাই সঞ্জয় শ্রী, ব্যবসায়ী চন্দ্রকান্ত রামালিঙ্গম, তৎকালীন বিধায়ক ও ব্যাঙ্গালোর ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির চেয়ারম্যান এস টি সোমাশেখর, আইএএস অফিসার জি সি প্রকাশ, কে রবি এবং বীরুপাক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আব্রাহাম জানিয়েছেন, চন্দ্রকান্ত রামালিঙ্গমের মালিকাধীন সংস্থা রামালিঙ্গম কনস্ট্রাকশন কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে বিডিএর তরফে ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করা হয়েছিল। ঘুষের বিনিময়ে রামালিঙ্গম কাজের বরাত পেয়েছেন বলেই দাবি আব্রাহামের।