সাম্প্রতিক কালে বারবার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর জঙ্গি হামলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। কাশ্মীরে কাজে গিয়ে বাংলার শ্রমিক আক্রান্ত হওয়ার দু’সপ্তাহও পেরোয়নি। এর মধ্যে আবারও গুলির লড়াই জম্মু-কাশ্মীরে। পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইতে নিহত দুই জঙ্গি। বুধবার রাতে শ্রীনগরের কাছে নওগামে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সেখানেই গুলির লড়াইতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। নিহত জঙ্গিরা আনসার ঘাজওয়াল উল হিন্দ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য ছিল বলে জানিয়েছে কাশ্মীর জোন পুলিশ। কয়েক আগেই সোপিয়ানে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে গুলি লড়াইয়ে মৃত্যু হয় আরও এক জঙ্গির। চলতি মাসের শুরুতে জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম হন উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থেক কাজ করতে যাওয়া এক যুবক। অগাস্ট মাসে করণদিঘি ব্লকের দিঘলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মণিরুল ইসলাম কফি ক্ষেতে কাজ নিয়ে কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে যান। দোসরা সেপ্টেম্বর বাড়িতে খবর আসে তাঁর উপর জঙ্গি হামলা হয়েছে।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো ২ সেপ্টেম্বর সকলেও কফি কাটার কাজে ক্ষেতে গিয়েছিলেন মণিরুল। সেই সময় আচমকাই জঙ্গিরা এসে তাঁদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। গুরুতর জখম মণিরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে দাবি, নওগামের গুলির লড়াইতে নিহত জঙ্গিরা এই হামলায় যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। নিহত জঙ্গিদের নাম আইজাজ রসুল নাজার এবং শাহিদ আহমেদ। এদের মধ্যে আয়াস পুলওয়ামার বাসিন্দা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান শুরু হয়। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ প্রথম এনকাউন্টারের কথা জানায় পুলিশ। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে গুলির লড়াই চলে। আইজাজ রসুল নাজার এবং শহীদ আহমেদ অরফে আবু হামজা। এরা গত ২ সেপ্টেম্বর পুলওয়ামায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা মণিরুল ইসলাম নামে এক শ্রমিকের হামলায় জড়িত ছিল।