একুশের ভোটযুদ্ধে তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক ছিল ‘দিদিকে বলো’। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ থেকে আবেদন জানানোর এই কর্মসূচীর সুফল ভোটবাক্সে হাতেনাতে পেয়েছে বাংলার শাসক দল। এবার ভোলবদলে একেবারে নতুন ভাবে ফিরছে ‘দিদিকে বলো’! পুজোর পর সরকারি পোশাকে একেবারে নতুন চেহারায় ফিরছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি পৌঁছনোর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা। সেই ব্যবস্থার নাম কী হবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়। কিন্তু মোদ্দা থিম হল, মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন। তিনিই মুশকিল আসান। হাত বাড়ালেই বন্ধু।
প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা ভোটের পরপরই বাংলায় ‘দিদিকে বলো’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু এবার যে ক্যাম্পেইন শুরু করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে আই-প্যাকের কোনও ভূমিকা থাকবে না। তা হবে পুরোদস্তুর সরকারি কর্মসূচি। অনেকটা দুয়ারে সরকার বা পাড়ায় সমাধানের মতো কর্মসূচি। যা এবার সরাসরি যোগসূত্র তৈরি করবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার মানুষের। উল্লেখ্য, সাধারণের অভিযোগ শোনা ও তা নিরসনের জন্য গত প্রায় তিন বছর ধরে নবান্নে একটি দফতর রয়েছে। যার নাম মনিটরিং অ্যান্ড গ্রিভ্যান্স রিড্রেসাল সেল। সিনিয়র আইএএস অফিসার পি বি সেলিম তার নেতৃত্বে রয়েছেন। কিন্তু সেই ব্যবস্থাকেই আরও প্রাতিষ্ঠানিক তথা ইনস্টিটিউশাল চেহারা দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রে খবর, মানুষের অভিযোগ ও সমস্যা শোনার জন্য একটি বিশাল আয়তনের কন্ট্রোল রুম খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই কন্ট্রোল রুম তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে অতি আধুনিক করার লক্ষ্য রয়েছে নবান্নের। তার পাশাপাশি এই কর্মসূচির জন্য টেন্ডার ডেকে দুটো এজেন্সি নিয়োগ করা হবে। প্রথম এজেন্সি নিয়োগ করা হবে কন্ট্রোল রুম ম্যানিংয়ের জন্য। অর্থাৎ যারা মানুষের অভিযোগ ও সমস্যার কথা শুনবে। তার পর সেই ডেটা তাঁরা দায়িত্বশীল আমলা, অফিসার ও পুলিশের কাছে পাঠাবে। দ্বিতীয় টেন্ডার ডাকা হবে অন্য একটি এজেন্সি নিয়োগের জন্য। যারা ফিল্ড স্টাফ নিয়োগ করবে। তাদের কাজ হবে, যে অভিযোগগুলো আসছে তা যাচাই করে দেখা। সূত্রের খবর, এই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকবে সমস্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক ও ব্লক উন্নয়ন অফিসের সঙ্গে।